বাতাসে যেন মরুর খরতাপের ঝাপটা। দুয়েকদিন বিরতি দিয়ে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে এবং আংশিক বরিশাল বিভাগসহ দেশের অনেক জেলায় হঠাৎ করেই আবারও অসহনীয় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার না হতেই কড়া সূর্যের তেজ। ঝলসে দিচ্ছে বৈশাখী তীব্র তাপদাহ। ফল-ফসল আবারও হিটশকে পুড়ে খাক হওয়ার মুখে পড়েছে। খরতাপের দাপট আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রাজশাহীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.৯ এবং সর্বনিম্ন ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বর্ষণ সিলেটে ৫২ মিলিমিটার। সেখানে পারদ নেমে আসে সর্বোচ্চ ২৯.৮ এবং সর্বনিম্ন ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল হালকা বৃষ্টি ঝরেছে নিকলিতে ২, ময়মনসিংহে ৯, শ্রীমঙ্গলে ৩, তেঁতুলিয়ায় ২ মিলিমিটার।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং পটুয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন