আশি^ন মাস অর্থাৎ শরৎ ঋতু শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। পয়লা কার্তিক দিয়ে হেমন্ত ঋতু শুরু আগামীকাল রোববার। অথচ এ সময়েই ভরা গ্রীষ্মকালের মতোই গা-জ¦লা অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে কাহিল মানুষজন। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা। মৌসুমী বায়ু বিদায় বেলায় আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ও ছিটেফোঁটা।
দেশের অধিকাংশ স্থানে অসময়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আজও তা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। বেশিরভাগ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বগুড়ায় ৩৮.২ এবং সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ২৪.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৭.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৩ ডিগ্রি সে.। মৌসুমের এ সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে সারা দেশে স্থানভেদে তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত ঊর্ধ্বে রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিচ্ছিন্নভাবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায় ৪৬ মি.মি.। এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়নি।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপটি পশ্চিম-মধ্য সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলসমূহ থেকে বিদায় নেয়ার আবহাওয়াগত অবস্থা বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ু দেশে কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল রয়েছে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের কিছু কিছু বা দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন