সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বঞ্চিত প্রকৃত কৃষক

তালিকা তৈরিতে দলীয়করণের অভিযোগ

রফিক মুহাম্মদ : | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২০, ১২:১১ এএম

কৃষক যাতে ধানের ভালো দাম পায় সে জন্য সরকার তাদের কাছ থেকে ধান কিনছে। চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে ২৬ টাকা কেজি অর্থাৎ ১০৪০ টাকা মণ দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কেনা কর্মসূচি সরকারি কর্মকর্তারা উদ্বোধন করেন। তবে প্রকৃত অর্থে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে মে মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে।
কৃষকের তালিকা তৈরিতে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। দেশের অনেক জেলায় সরকার দলীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের আত্মীয়-স্বজন বা অনুগত লোকদের নাম তালিকায় দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় কৃষক নয়, যার কোন জমি নেই এমন ব্যক্তির নামও তালিকায় এসেছে। এতে প্রকৃত কৃষকের নাম বাদ পড়েছে। আর তাই কৃষক বাধ্য হয়ে ব্যাপারিদের কাছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করছেন। অন্যদিকে কৃষক নয়, যার কোন জমিও নেই এমন লোক শুধু দলীয় পরিচয়ে নিজের নাম সরকারিভাবে ধান কেনার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আর এই ভুয়া কৃষক প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে সরকারের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে প্রতি টন ধানে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। ধান কেনার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে কৃষক আছেন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার। কোন ওয়ার্ডে তার চেয়েও বেশি। তাদের প্রত্যেকের নাম নিয়ে সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ জনের তালিকা করা হচ্ছে। তবে অনেক জায়গার কৃষকরা বলছেন, এই লটারি লোক দেখানো মাত্র।
এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলাম বলেন, জেলা কৃষি অফিসে কৃষকদের একটা তালিকা আছে। এই তালিকাকে ভিত্তি ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির সুযোগ নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে ধান কেনা হচ্ছে।প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হচ্ছে। যেসব কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে, লটারির মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করে সেই তালিকা সরকারি অফিসে টাঙিয়ে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম স্বজনপ্রীতি সহ্য করা হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন