বেপরোয়া মানবপাচারকারী চক্র
ভালো চাকরি আর নিরাপদ জীবনযাপনের আশায় দালালের হাতে লাখ লাখ টাকা দিয়ে মানুষগুলো যখন ঘর থেকে বের হন- তখন থেকেই বিপদ শুরু হয়। তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় দালাল চক্র। তখন থেকেই তারা জিম্মি হয়ে পড়েন। কাক্সিক্ষত দেশ পর্যন্ত যেতে দেশে দেশে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি হন। বিক্রি হতে হতে কারও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ধাপে ধাপে বিরাট অংকের টাকা দিয়ে বিদেশ যেতে পারেন। আবার যাদের ভাগ্য সহায় হয় না- তারা বিভিন্ন দেশের জেলে স্থান পান। ইউরোপ পাচারকারীদের প্রথম ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ লিবিয়া। লিবিয়ায় দালালরা তাদের একটি ঘরে বন্দি রাখে। এরপর শুরু হয় লোমহর্ষক ভয়ঙ্কর সব ঘটনা। ইউরোপগামীদের ওপর দালাল চক্র চালায় নির্মম নির্যাতন। দফায় দফায় টাকা নেয়ার পর সাগর পথে পাঠানো হয় ইতালির উদ্দেশে। সেখানেও দালাল চক্রের আরেকটি অংশের হাতে আটক থাকতে হয়। যারা তীরে ভিড়তে পারেন তাদের কাছ থেকে আবারও টাকা আদায়ের নির্যাতন চলে। কয়েক দফা টাকা দেয়ার পর ভাগ্য সহায় হলে অবৈধভাবে কাজের সুযোগ পান অনেকে। এসব মানবপাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরি, অন্যথায় এরা বিপদজনক খেলা করতেই থাকবে।
মো. জিল্লুর রহমান
গেন্ডারিয়া, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন