বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সাফল্য নিয়ে আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু একের পর এক ব্যবসা সফল সিনেমার পরও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেকারণে একাধিকবার প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি, একটি সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতনও করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের কথায় লিখেছেন দীপিকা। সেখানে তিনি লিখেছেন, একসময় আমিও মানসিক সমস্যায় ভুগেছি। আমি জানি কথা বলাটা কতটা জরুরী। অন্যের সঙ্গে কথা বলুন, নিজেকে বাহির করে আনুন। প্রয়োজনে আপনি সাহায্য চান। মনে রাখবেন আপনি একা নন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আর সবকিছুর শেষে আশা আছে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবসাদের কথা স্বীকার করে দীপিকা বলেন, তখন তিনি খ্যাতির শীর্ষে৷ হাতে কোনো সিনেমার অভাব নেই। কিন্তু হঠাৎই একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাথা ঘুরে মেঝেতে পরে যান তিনি। বাড়ির পরিচারিকা এসে উদ্ধার করেন তাকে। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে দেখেন তার হাই প্রেসার।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে সবকিছুই বদলাতে শুরু করে। একা থাকলেই অজানা কষ্টে ভুগতে থাকেন তিনি। এরপরই মুম্বাইয়ে তার পরিবারের সবাই চলে আসেন। কোনোভাবেই নিজের অবস্থার কথা কাউকে বলতে পারছিলেন না। যেদিন পরিবারের সবাই চলে যাচ্ছে, সেদিন হঠাৎ কেঁদে ফেলেন তিনি। এরপর মায়ের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করান এই চিত্রতারকা।
দীপিকার কথায়, শোবিজ তারকাদের নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। খ্যাতি আর টাকা থাকলে কোনো অবসাদ থাকতে পারে না, এটা সত্য নয়। পুরোপুরি এটা ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন। এই পরিস্থিতিতে কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অনেকেই এই অবসাদকে দুঃখ বলে থাকেন, কিন্তু যা একেবারেই ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন দীপিকা পাড়ুকোন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন