বুধবার রাতের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর আশপাশের অধিকাংশ এলাকা ও সড়কপথ,মার্কেট শপিং মল। শহরের অধিকাংশ মার্কেটগুলোতে থই থই করছে পানি। মার্কেটের ভিতরে থাকা পানি নিস্কাসনে ব্যবহার করা হচ্ছে পানির সেচ পাম্প। কোনো কোনো মার্কেটের দোকানীরা নিজেরাই বালতি কিংবা গামলা দিয়ে পানি সেচার কাজ করে যাচ্ছে।শহরের প্রধান সড়কগুলো ও পানিতে ডুবে গেছে।
অপরদিকে বিভিন্ন এলাকার কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি। অনেকের বসতঘরে পানি উঠেছে। ঘরের আসবাব পত্র তলিয়ে আছে পানির নিচে। বিশেষ করে ডিএনডি এলাকার ঘরে ঘরে বৃস্টির পানি ঢুকেছে।ফলে মানুষ পড়েছে নিদারুণ কস্টে।খোজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একটানা বর্ষনের কারনে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।এছাড়া অলিগলিতে হাটি সমান পানি।
শহরের দেওভোগ খানকা রোডের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান,কোন বছরই তার বাসায় বর্ষা কালে পানি প্রবেশ করেনি।এবার একদিনের বৃস্টিতে ঘরে পানি ঢুকেছে। আসবাব পত্র সব ডুবে গেছে। আমাদের কস্টের কি আর শেষ আছে? তিনি বলেন, মাত্র বর্ষা কাল শুরু।সামনে আমাদের কি দুর্গতি আছে আল্লাহ ভালো জানেন
ফতুল্লার লালপুর পৌষপুকুরপাড় এলাকার মোক্তার হোসেন মুতু জানায়,এমনিতেই গত কয়েকদিনের বৃস্টিত রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষনে রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এলাকার অধিকাংশ বাসায় পানি ঢুকেছে।আগে হাটু পরিমান পানি থাকলে ও রাতের বৃস্টিতে রাস্তা কমর পর্যন্ত পানি।ফলেনএই এলাকার মানুষ এলাকা থেকে বের হতে ও পারছেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে তারা। তিনি আরো জানান,মাত্র বর্ষাকাল শুরু এখনি একদিনের বৃস্টিতে পানিবদ্ধ হয়ে পড়ছি আমরা। বর্ষাকালের বাকি সময়টা নিয়ে আমরা শংকিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএনডি এলাকার মাহমুদপুর, ভুইগড়, দেলপাড়া, নয়ামাটি, নুরবাগ, ইসদাইর, তল্লা, গাবতলী, লালপুর, পৌষারপুকুর পাড়, কোতালের আাগ,কুতুব আইল,লালখা, দাপা পাইলট স্কুল,রেল স্টেশন, পিলকুনী,ব্যাংক কলোনী,নন্দলালপুর সড়ক,দেলপাড়া কলেজ রোড ,সস্তাপুর, ইসদাইর,কলেজ রোড, মাসদাইর বাজার,নাগবাড়ি, দেওভোগ,পাইকপাড়া, বাবুরাইল, নারায়ণগঞ্জ শহর, হাজীগঞ্জ, পাঠানতলি, গোদনাইল, জালকুড়ি সহ প্রায় এলাকা জলবদ্ধতার কবলে পড়েছে মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন