শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

প্রমাণ আছে আলুথামাগের কাছে!

ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ ‘বিক্রি’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ফাইনাল পাতানো ছিল—এমন অভিযোগের সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ পায়নি শ্রীলঙ্কান পুলিশ। সে কারণে অভিযোগের তদন্তের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তারা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথামাগে এ বিষয়ে কিছু তথ্য-প্রমাণ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির হাতে তুলে দিতে চান।

৯ বছর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ১৯৮৩ সালের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। কিন্তু সে ম্যাচটির দিকে সন্দেহের তির ছুড়ে লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

দেশের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর মুখ থেকে এমন অভিযোগে বিস্মিত হয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনেদের মতো শ্রীলঙ্কান তারকা ক্রিকেটাররা। সে সময়ের প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাও এমন অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করে পুরো তদন্ত সাপেক্ষে পুরো বিষয়টির সুরাহা চেয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কান সরকারও ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ জন্য লঙ্কান পুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন ইউনিট তদন্তও শুরু করে কিছু দিন আগে। অরবিন্দ ডি সিলভা, সাঙ্গাকারা, উপুল থারাঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশি জেরার মুখোমুখিও হতে হয়। কিন্তু সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ এতেও শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা পুলিশি তদন্ত বন্ধ করার জন্য প্রচুর টাকা ঢেলেছে। সে কারণে পুলিশও তদন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালকে এ ব্যাপারে কিছু তথ্য প্রমাণ সরবরাহ করবেন। তার কাছে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যেটি থেকে বোঝা যায় ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল পাতানো ছিল। আলুতগামাগের অভিযোগ, ‘শ্রীলঙ্কান পুলিশ এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল গতপরশু এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, আইসিসির কাছে নাকি এ মুহূর্তে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই, যার মাধ্যমে পাতানো ম্যাচের অভিযোগটি ভিত্তি পায় এবং আইসিসি নিজে কোনো তদন্ত শুরু করতে পারে।

শ্রীলঙ্কার জনগণ অবশ্য পুরো বিষয়টিকেই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিম‚লক ব্যাপার মনে করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের ক্রিকেটবীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোড়ারও সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, আগামী ৫ আগস্ট সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি একটি রাজনৈতিক স্টান্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন