জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোগ বাড়ছে। আর বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া না হলে এর প্রকোপ বাড়তেই থাকবে। কোভিড-১৯ এর মতো রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্য তারা প্রাণীজ প্রোটিনের তীব্র চাহিদা বৃদ্ধি, টেকসই নয় এমন কৃষিকাজ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। প্রাণী থেকে ছড়ানো রোগ অবহেলা করায় প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারগুলোর কৌশল কী হতে পারে তারও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে। এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, টেকসই ভ‚মি ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগ। জাতিসংঘের জলবায়ু কর্মস‚চির নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসন বলেন, ‘বিজ্ঞান স্পষ্ট যে, আমরা যদি বন্যপ্রাণী ধ্বংস এবং বাস্তুতন্ত্র বিনাশ করতে থাকি, তাহলে আশঙ্কা করতে পারি সামনের বছরগুলোতে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়া নিয়মিতভাবে বাড়তে থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।’ করোনাভাইরাসের আগে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অন্য রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ইবোলা, ওয়েস্ট নীল ভাইরাস এবং সার্স। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে দুই বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির নয় লাখ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মস‚চি এবং আন্তর্জাতিক প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাণী থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের অবম‚ল্যায়নের মাধ্যমে এসব রোগ মানুষের মধ্যে ছড়ায়। উদাহরণ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ‚মি বিনাশ, বন্যপ্রাণী ধ্বংস, খনিজ আহরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব রোগ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো প্রাণী ও মানুষের মিথস্ক্রিয়ার উপায় পাল্টে দেয়। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন