কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ভারত ভূ-খন্ড থেকে মহিষসহ বিএসএফ’র হাতে আটক ৫ বাংলাদেশী রাখালকে ভারতের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাদের ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের বাউশমারী সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮ জনের একদল বাংলাদেশী রাখাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারত থেকে মহিষ চোরাপথে বাংলাদেশে পাচার করছিল। এসময় ভারতের ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ বাউশমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ মহিষ পাচারকারীদের ধাওয়া দিয়ে ২টি মহিষসহ বাংলাদেশী ৫রাখালকে আটক করে। তবে বিএসএফ’র ধাওয়া খেয়ে বাংলাদেশের দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চশ্লিশপাড়া সীমান্ত এলাকার সিরাজ, আশিক ও বিপ্লব বাংলাদেশ সীমানায় পালিয়ে আসে। বিএসএফ’র হাতে আটক বাংলাদেশী মহিষ পাচারকারী রাখালদের মধ্যে রয়েছে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠোটারপাড়া গ্রামের নাদের আলীর ছেলে মিঠন আলী (২৫), বগমারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে লিটন আলী (৩০) ও আলিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮) এবং চরপাড়া গ্রামের উকিল মন্ডলের ছেলে বাগু মন্ডল (৫০) ও জীবন সরকারের ছেলে আনন্দ সরকার (২৫)। বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটকের খবর পেয়ে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ রামকৃষ্ণপুর বিওপি কমান্ডার বাংলাদেশীদের ফেরত চেয়ে বাউশমারী ক্যাম্পের বিএসএফ’র কাছে পত্র প্রেরণ করলে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৭/৫-এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাউশমারী-মোহাম্মদপুর সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ১৩ সদস্যের বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ বাউশমারী ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বিমল কুমার। ৮ সদস্যের বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ মহিষকুন্ডি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম। মাত্র ১০ মিনিটের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র হাতে আটক বাংলাদেশী রাখালদের ভারতের জেলহাজতে প্রেরনের কথা জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন