বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ টেকসই উন্নয়নের ধারাকে সামনে এগিয়ে নেয়া। টেকসই উন্নয়নের বড় একটি জায়গা জুড়ে রয়েছে পরিবেশের সুরক্ষা। এজন্য প্রথমেই সামনে আসবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় চ্যালেঞ্জ প্লাাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় পণ্য। প্লাস্টিক যখন একটি অন্যতম সমস্যা, তখন আমাদের স¤পদ আমাদের প্রাপ্তির জায়গা। মাটি, পাট এবং চামড়া আগামী বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভবনাময় টেকসই উন্নয়নের ধারক হবে। পচনশীল সিনথেটিক প্লাস্টিক নিয়ে নতুন ভাবে ভাবার চেয়েও ভালো চিন্তা হতে পারে এই তিন উপাদান নিয়ে। অথচ এখানে আমরা তেমন কোন উন্নয়ন ঘটাতে পারছিনা। চামড়া নিয়ে এবারও বড় ধরণের হতাশার জায়গা তৈরী হয়েছে। ঈদের দিন রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরেছি। কোথাও দেখিনি চামড়া ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে আছে। সরকার নির্ধারিত দামতো নয়ই বরং চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে অনেক জায়গায়। রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলে দেয়ার দৃশ্য আমাদের ভাবিয়েছে। অথচ চামড়ার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে প্লাস্টিক, রাবারের ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। যদি প্লাস্টিকের বদলে চামড়া বা পাটের ব্যাগ সস্তাতে তৈরীর ব্যবস্থা করা যায়, তবে টেকসই উন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে তেমনি আমাদের চামড়া শিল্পের উন্নয়নও দ্রæত হবে। পাটের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পাটের সরকারি ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক সময়ের সোনালি আঁশ এখন অবহেলার শিকার। এভাবে চলতে পারে না। পাট, চামড়া, মাটির বস্তু তৈরীতে এখন থেকেই ভাবনা শুরু করতে হবে। নতুন কোন পরিবেশসম্মত পণ্য তৈরী করা গেলে চামড়া ফেলে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। এগুলো হয়ে উঠবে আমাদের স¤পদ। চামড়া, পাট ও মাটির বস্তু উৎপাদনে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ ব্যপারে ভাববে, এটাই প্রত্যাশা।
সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও রসায়নবিদ শ্রীটুর, গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন