নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজউকের অধীনে থাকা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের একটি সামাজিক কবরস্থান, মসজিদ ও মাদরাসা রক্ষার দাবিতে দৌড়ঝাঁপ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়ে এলেও কবরস্থান, মসজিদ ও মাদরাসার নামে আলাদা পর্যাপ্ত পরিমাপের প্লট বরাদ্দ দেয়নি রাজউক। এতে পূর্বপুরুষদের কবর বিলুপ্তির শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর হারারবাড়ি বর্তমানে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১০ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর প্লটটিতে রয়েছে একটি মসজিদ, মাদরাসা ও ওয়াক্ফকৃত পারিবারিক ও সামাজিক কবরস্থান। রাজউক মসজিদের নামে ৮ কাঠা পরিমাপের প্লট বরাদ্দ দিলেও মসজিদ সংযুক্ত মাদরাসা ও কবরস্থানের নামে বরাদ্দ দেয়নি। তাই বিভিন্ন সময় ওই কবরস্থান ও মাদরাসা উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করে রাজউক। অথচ হারারবাড়িস্থ মৌজায় কবরস্থানের নামে ওয়াক্ফকৃত জমি রয়েছে ৪৭ শতক। এদিকে মাদরাসা উচ্ছেদ করে নকশায় রাখা হয়েছে রাস্তা। এতে যে কোন সময় ভেঙে ফেলা হবে মাদরাসাটিও।
মসজিদ কমপ্লেক্স কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজউকের কাছে দরখাস্ত করেও বিষয়টির সুরাহা পাইনি। ফলে আমাদের বাপ-দাদাদের কবর হারাতে বসেছি। তাছাড়াও এমন আধুনিক শহরে অন্যান্য মসজিদের নামে ১২ কাঠা প্লট বরাদ্ধ দিলেও এ মসজিদের নামে মাত্র ৮ কাঠা দেয়া হয়েছে। আবার মাদরাসাটির ওপর দিয়ে রাস্তা করার জন্য রাজউক তা ভেঙে ফেলতে চাইছে। এমতাবস্থায় কবরস্থান-মাদরাসা রক্ষা করা জরুরি। তাই রাজউকের সুদৃষ্টি দাবি করেন তিনি।
এদিকে এ মসজিদ কমপ্লেক্স, কবরস্থান ও মাদরাসা রক্ষায় সমাজবাসীর সঙ্গে একাট্টা ঘোষণা করেন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও প্রকাশক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি একাধিকবার মসজিদটি পরিদর্শন করে সঙ্কট সমাধানে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) উজ্জল মল্লিক মুঠোফোনে জানান, মসজিদটিতে ৮ কাঠা বরাদ্দ দেয়া আছে। তা ১২ কাঠা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে মাদরাসা ও কবরস্থান বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজউকের বোর্ড মিটিংয়ে তা তোলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন