শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ত্যাগ চাই মার্সিয়া ক্রন্দন চাহি না

এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫৯ পিএম

ইসলামী জীবন বিধানের মাঝে ব্যত্যয় সৃষ্টি করার প্রবণতা পূর্বে যেমন ছিল, এখনও তার প্রবাহ বেড়েই চলেছে। সুরা তাওবাহ এর ৯৬ নং আয়াতে সময় গণনার পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করার উপলক্ষে চারটি অলঙ্ঘনীয় পবিত্র মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে খ্রিষ্টান সমাজ ও তাদের দোসররা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং তাদের বছর গণনার সাথে ইসলামের বছর গণনাকে মিলানোর চেষ্টা করতে থাকে। এ জন্য তারা সৌর বছরের সাথে চান্দ্র বছরকে মিলানোর লক্ষ্যে বা সমপর্যায়ে আনার জন্য একটি বর্ধিত মাস যোগ করার অপপ্রয়াস চালায়। এ বর্ধিত সংযুক্ত মাসটাকে জিলহজের পরে ধরা হত এবং তা অলঙ্খনীয় পবিত্র মাস হত না। এভাবে আল মুহাররাম অলঙ্ঘনীয় মাসকে লঙ্ঘনীয় করার একটি ফাঁদ পাতা হয়। এ ফাঁদের কৌশল অনুযায়ী আল মুহাররাম মাসের ফজিলত, মাহাত্ম ও বরকত সব কিছুই বিনষ্ট হয়ে যায়। এতদ সম্পর্কে উস্তাজুনা সাইয়্যেদ মাওলানা মুফতি মোহম্মদ আমিমুল ইহসান (রহঃ) মাদ্রাসা-ই-আলীয়া ঢাকায় সহিহ বোখারি শরিফ দরস্ দানের সময় বলেছিলেন: প্রাথমিক যুগে বর্ধিত মাস প্রবর্তন করে সৌর বছরের সমপর্যায়ে চান্দ্র বছরকে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এ বৃথা চেষ্টা ফলবর্তী হয়নি। তার কারণ প্রাচীন আরবে জ্যোতির্বিদ্যা সম্বন্ধে অজ্ঞতা ছিল ব্যাপক। সে যুগে শীতকালীন অর্ধ বছর আল মুহাররাম দ্বারা শুরু হত। প্রথম ছয় মাসের নাম দেখে তা বুঝা যায়। খ্রিষ্টান ও ইহুদি বছরের ন্যায় আরব বছরও শরৎকালে আরম্ভ হত। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাদের অপতৎপরতার জাল ছিন্ন করে দেন এবং এতদ সম্পর্কে আল কোরআনের আয়াত নাজিল হয়। কোরআনুল কারীমের ৯নং সুরা তাওবাহ-এর ৩৭ নং আয়াতে এরশাদ করেছেন: এই যে মাসকে পিছিয়ে দেয়া কেবল কুফুরির বৃদ্ধি করা, যা দ্বারা কাফিরগণকে বিভ্রান্ত করা হয়। তারা কোনো বছর একে বৈধ করে এবং কোনো বছর অবৈধ করে, যাতে তারা আল্লাহ সেগুলোকে নিষিদ্ধ করেছেন, সেগুলোর গণনা পূর্ণ করতে পারে। অনন্তর আল্লাহ যা নিষিদ্ধ করেছেন তা হালাল করতে পারে। তাদের মন্দ কাজগুলো তাদের জন্য লোভনীয় করা হয়েছে; আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না’।

এ আয়াতে কারীমায় চান্দ্র মাসের হিসেবে হেরফের করাও বর্ধিত মাস এতে মুক্ত করার রীতি চিরতরে। নিষিদ্ধ হয়ে যায় এবং বছরের পহেলা মাসÑ আল মুহাররাম নির্ধারিত হয়ে যায়। এ মুহাররাম মাস বছরের সমস্ত ঋতুতেই ঘুরে আসে। কারণ বারটি চান্দ্র মাসে সর্বদাই ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়। যেমন এখনও হচ্ছে এবং পরবর্তীতেও হবে। এর কোনো অন্যথা হবার নয়। মহান আল্লাহপাক ইসলামী জীবন বিধানকে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত-জারি রাখুন, একান্তভাবে এ কামনাই করছিÑ আমীন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন