বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মুহাররম শব্দের সংখ্যা তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

আরবী মুহাররম শব্দে ৫টি বর্ণ সংস্থাপিত আছে। এই শব্দের তৃতীয় বর্ণটি হলো- রা। এই রা বর্ণটিতে তাশদীদ সংযুক্তির ফলে এর দ্বৈত উচ্চারণ হয় বিধায় এতে ৫টি বর্ণের মধুর সমাহার ঘটেছে। আল্লাহ পাকের মনোনীত ধর্ম ইসলামের সাথে ৫ সংখ্যাটি ওঁতপোতভাবে জড়িত বিধায় ইসলাম এবং মহররমের মধ্যে যে নিবিড় সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে, তা অবলোকন করলে বিস্ময়ে হতবাক না হয়ে পারা যায় না।

আরবী ইসলাম শব্দে ৫টি বর্ণ আছে। ইসলামের বেনা বা ভিত্তি ৫টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামে প্রবেশ করতে হলে ঈমান আনয়ন করতে হয়। আরবী ঈমান শব্দের ৫টি বর্ণ আছে। ঈমান আনয়ন করার জন্য কতিপয় কালেমা আত্মস্থ করতে হয়। এই কালেমার সংখ্যাও ৫টি। ঈমান আনয়নের পর ইবাদত করা অপরিহার্য হয়ে পরে। আরবী ইবাদাতুন শব্দের অক্ষর সমষ্টিও ৫। দিনে এবং রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নামাজ আদায়কালে মোমিন মুসলমানের ৫টি ইন্দ্রিয়কে সমবেতভাবে আল্লাহপাকের দিকে রুজু রাখতে হয়। আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সত্তাবাচক নাম মোহাম্মাদ (সা.)। এই নাম মোবারকের অক্ষর সংখ্যাও ৫। তিনি এই পৃথিবীর মানুষের কাছে দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত আল কোরআনের বাণী পৌঁছিয়েছেন। এই ২৩ সংখ্যাটির একক (২+৩)=৫। এতসব পঞ্চতন্ত্রের ভান্ডারের বেশ কিছু দিক বক্ষে ধারণ করে আছে বলেই মহররম মাসটি উম্মতে মোহাম্মাদীর অন্তরের মণি কঠোয় স্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এটা আল্লাহপাকের এক বিশেষ দান। তিনি যাকে চান এই দানের দ্বারা মর্যাদা-মন্ডিত করেন।

মহররম মাসের দশম দিবসকে আশুরা বলা হয়। এই ১০ আদতে ৫+৫ এর সামষ্টিক রূপ। আশুরার দিন হজরত মূসা (আ.) বনি ইসরাইলদের জালিম ফেরাউনের কবল হতে উদ্ধার করেছিলেন। হজরত মূসা (আ.) এর সাফল্যে শাশ্বত ইসলামের বিজয় সূচিত হয়েছিল। বিজয় আল্লাহর দান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বান্দাহর কর্তব্য। এই প্রেক্ষিতে সকল নবীতে সমভাবে বিশ্বাসী।

প্রিয় নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং তাঁর উম্মতগণ মহররম মাস এবং আশুরার দিনটিকে মর্যাদাপূর্ণ মনে করেন। আবার এই দশম মহররমে কারবালা প্রান্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) শাহাদাতবরণ করেছিলেন। চরম বিপদপূর্ণ হলেও সত্যের পতাকাবাহী ইমাম হুসাইন (রা.) এর এই অপূর্ব আত্মত্যাগ ইসলামের ইতিহাসে দিনটিকে গাম্ভীর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
তাইতো মরমি কবি প্রাণ খুলে গেয়েছেন : ‘ইসলাম জিন্দা হোতা হায়, হার কারবালাকে বাদ’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন