শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মুহাররম মাসের কতিপয় আমল

এ.কে.এম ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

পুরো মুহাররম মাস নেক আমলের বসন্তকাল। খালেম মুমিন মুসলমানগণ এ মাসে নেক আমল করলে এর পুণ্য অন্যান্য মাসের নেক আমল থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায়।

নিম্নে এতদসংক্রান্ত কতিপয় আমলের কথা তুলে ধরা হলো। (১) হজরত ওসমান (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন : তোমরা আল্লাহ পাকের প্রিয় মাস মুহাররমের প্রতি সম্মানপ্রদর্শন করো। যে ব্যক্তি মুহাররম মাসের সম্মান করে আল্লাহপাক তাকে জান্নাতে সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নামের আজাব হতে বিমুক্ত রাখবেন। (২) হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) আরও বলেছেন : যে ব্যক্তি মুহাররমের প্রথম ১০ দিন রোজা রাখে, সে যেন ১০ হাজার বছর যাবত দিনে রোজা রাখল এবং রাত্রি জাগরণ করল। অর্থাৎ সে বিপুল পুণ্যের অধিকারী হবে। (৩) অন্য এক হাদিসে আছে যে, মুহাররম মাসে ইবাদতকারী ব্যক্তি যেন শবেকদরে ইবাদত করার ফজিলত লাভ করল। (৪) আরও বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি মুহাররমের ১ তারিখ দিনে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে এভাবে মোনাজাত করে হে আল্লাহ! আপনি চিরপুণ্যময়, চিরস্থায়ী এবং অপরিবর্তনশীল। এটা নতুন বছর। আমি আপনার পবিত্র দরবারে এই কামনা করি যে, আপনি আমাকে এ বছর শয়তান মরদুদ ও তার সহযোগীদের প্রলোভন ও ষড়যন্ত্র হতে নিরাপদে রাখুন। আর যাবতীয় বালা-মসিবতের অনিষ্টকারিতা হতে রক্ষা করুন। আমার নিজের নফসের সাথে লড়াই করে জয়ী হওয়ার জন্য আমাকে সাহায্য করুন। আর যে কাজের দ্বারা আপনার নৈকট্য লাভ করতে পারব, আমাকে সে কাজে লিপ্ত রাখুন। দয়াময় আল্লাহ তায়ালা তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা মোতায়েন করেন। সেই ফেরেশতা সারা বছরই সে ব্যক্তিকে শয়তানের প্ররোচনা ও উপদ্রব হতে রক্ষা করার চেষ্টা করেন এবং তার ইবাদতের কাজে সহায়তা করেন। (৫) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও এরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি দোজখের আগুন থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চায়, সে যেন মুহাররম মাসে নফল রোজা রাখে। (৬) আরও বর্ণিত আছে যে, একজন সাহাবি রাসুলুুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! রমজানের পরে সর্বোত্তম রোজা কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহর মাসের রোজা। যে মাসে তোমাদের কাছে মুহাররম নামে পরিচিত। এতে এমন একটা দিন রয়েছে- যেদিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এক কাওমের তাওবাহ কবুল করেছিলেন এবং আগামী দিনেও তিনি অন্য এক কাওমের তাওবাহ এদিনে কবুল করবেন। তাই, আসুন! আমরা মুহাররম মাসব্যাপী নফল ইবাদত তাওবাহ, ইস্তেগফার ও রোজা পালনে ব্রতী হই। আল্লাহপাক আমাদের এর তৌফিক এনায়েত করুন- আমীন!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন