শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেসির গোলটিই সেরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

দর্শকদের ভোটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা নির্বাচিত হয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল, টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষকরা বেছে নিলেন লিওনেল মেসির গোলকে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে নাপোলির বিপক্ষে চোখ জুড়ানো গোলটি করেছিলেন বার্সেলোনার এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ ব্যবধানে উড়ে যাওয়ার আগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে নাপোলির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতে বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যুয়ের সেই ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মেসির করা দুর্দান্ত গোলটি পেল আসর সেরার স্বীকৃতি।
লুইস সুয়ারেজের বাড়ানো বল ধরে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে বক্সে ঢোকার পর প্রতিপক্ষের ট্যাকলে পড়ে যান মেসি। কিন্তু থেমে যাননি। দ্রুতই উঠে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই জনের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে দ‚রের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেনে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বায়ার্নের বিশাল জয়ের ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে জসুয়া কিমিচের করা গোলটি আছে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। অবশ্য শুধু নিখুঁত টোকা দেওয়ার কাজটুকুই করেছিলেন তিনি। বাম দিক দিয়ে একে একে বার্সেলোনার তিন জনকে কাটিয়ে বাইলাইনের একটু ওপর দিয়ে ছুটে গিয়ে কিমিচকে বলটা বাড়িয়েছিলেন আলফোনসো ডেভিস।
গ্রুপে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দিনামো জাগরেভের দানি ওলমোর গোলটি তালিকায় তৃতীয় এবং স্লাভিয়া প্রাহার বিপক্ষে ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্তিনেসের চমৎকার ভলিতে পাওয়া গোলটি রয়েছে তালিকায় চতুর্থ স্থানে। গ্রুপ পর্বে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে ৭-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জেতে বায়ার্ন। হ্যাটট্রিকসহ চার গোল উপহার দেন সের্গে জিনাব্রি। ওই ম্যাচে তার বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠে করা গোলটি আছে পঞ্চম স্থানে।
সেরা দশে জায়গা পেয়েছে লাইপজিগের মার্সেল সাবিতজার, বার্সেলোনার লুইস সুয়ারেস, জুভেন্টাসের দগলাস কস্তা, আয়াক্সের হাকিম জিয়াশ ও পিএসজির ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের গোল।
একই দিন মৌসুমের সেরা পারফর্মারদের বেছে নিয়ে ২৩ সদস্যের স্কোয়াড দিয়েছে উয়েফা। সেখানে অনুমিতভাবেই জায়গা পেয়েছেন মেসি। সঙ্গী পিএসজির ব্রজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমারও। তবে নেই সময়ের আরেক সেরা তারকা রোনালদো। অবধারিতভাবে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ত লেভান্দোভস্কিসহ সর্বোচ্চ নয় ফুটবলার ঠাঁই নিয়েছেন এই দলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন জন করে খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন রানার্সআপ পিএসজি ও সেমিফাইনালিস্ট আরবি লাইপজিগ থেকে। কিন্তু তালিকায় নাম নেই ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরটির রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের কারোর।

পর্যবেক্ষকদের চোখে মৌসুমের সেরা দল
গোলরক্ষক : ম্যানুয়েল নয়্যার (বায়ার্ন মিউনিখ), ইয়ান ওবলাক (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ) ও অ্যান্থনি লোপেজ (লিওঁ)।
ডিফেন্ডার : আলফোনসো ডেভিস (বায়ার্ন মিউনিখ), জশুয়া কিমিচ (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেভিড আলাবা (বায়ার্ন মিউনিখ), ভার্জিল ভ্যান ডাইক (লিভারপুল), দাইয়ত উপামিকানো (লাইপজিগ) ও অ্যাঞ্জেলিনো (লাইপজিগ)।
মিডফিল্ডার : টমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ), থিয়াগো আলকান্তারা (বায়ার্ন মিউনিখ), লিওন গোরেৎস্কা (বায়ার্ন মিউনিখ), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি), মার্কুইনহোস (পিএসজি), হোসেম আউয়ার (লিওঁ), মার্সেল সাবিৎজার (লাইপজিগ) ও আলেহান্দ্রো গোমেজ (আতালান্তা)।
ফরোয়ার্ড : রবার্ত লেভান্দোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ), সার্জ ন্যাব্রি (বায়ার্ন মিউনিখ), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা), নেইমার (পিএসজি), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি) ও রহিম স্টার্লিং (ম্যানচেস্টার সিটি)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন