শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডাক বিভাগের ডিজি ভদ্রকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুধাংশু শেখর ভদ্র (এসএস ভদ্র)কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থার উপ-পরিচালক মো.সালাহউদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদক সূত্র জানায়,প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র। দুর্নীতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি’ তদন্তেও উঠে আসে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মোটা অংকের অর্থ খরচ করে দুদকে চলমান অনুসন্ধানটিও ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আগের দিন করোনা পজেটিভ নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ভদ্র। এর জের ধরে নতুন করে আলোচনার বিষয়বস্তু হন এসএস ভদ্র্। প্রকল্পের নামে তার শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং হাজার হাজার কোটি সরকারি টাকার অপচয় তথা দুর্নীতির বিষয়টি সামনে চলে আসে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে নিয়ে পৃথক তদন্তে নামে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে দুদকে দীর্ঘ দিন চাপা পড়ে থাকা ফাইলটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর ‘ডাক ঘরে ৭০ কোটি টাকার মচ্ছব ও কাজে আসেনি ২০ হাজার পওস মেশিন’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক ইনকিলাবে। গত ২৪ নভেম্বর ‘সার্ভার না কিনেই শত কোটি টাকা খরচ’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে এসএস ভদ্র’র শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন দু’টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্তেও এসএস ভদ্রর প্রকল্পের নামে সাগর চুরির বিষয়টি উঠে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,ডাক বিভাগে গ্রাহক সেবার উৎকর্ষ সাধণের দিকে মনযোগ না দিয়ে তিনি একের পর এক উচ্চভিলাসী প্রকল্প হাতে নেন। শুধু মাত্র ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি প্রকল্প হাতে নেন। অথচ প্রকল্পের আওতায় কেনা হাজার হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Add
Elious ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাবের এই সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার দেশ অনেক উপকৃত হয়
Total Reply(0)
Add
Mohammed Sajjad Hossen ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
ভদ্রকে সবার আগে বরখাস্ত করা হোক, তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, তার ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ তদন্ত করা হোক। তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হোক
Total Reply(0)
Add
Md Syed Alam ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সবাইর নাম ভদ্র অভদ্র দাস দে পাল চন্দ্র শীল কেন বুঝি না।
Total Reply(0)
Add
Jamil Hosen Jon ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩১ এএম says : 0
হিন্দু দিয়ে দেশে লুটপাট করানোর যে প্রবনতা...তা হয়তো আর থামানে সম্ভব না।।দেশের প্রতিটা বড় বড় সব পদে হিন্দু নিয়গ দেয়া হয়েছে...এটা কার সার্থে..? নাকি ভারতের সার্থে...?
Total Reply(0)
Add
নওরিন ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩২ এএম says : 0
তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি
Total Reply(0)
Add
কৌশিক সরকার ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৪১ এএম says : 0
প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া জরুরী
Total Reply(0)
Add
রুবি আক্তার ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৪৫ এএম says : 0
সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে লুটেপুটে খাচ্ছে তাতে দেশ চলে কি করে।
Total Reply(0)
রুবি আক্তার ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৪৫ এএম says : 0
সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে লুটেপুটে খাচ্ছে তাতে দেশ চলে কি করে।
Total Reply(0)
আবিদ রায়হান ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২৮ পিএম says : 0
অফিসারদের বর্তমান বাসভবনগুলিই খালি পড়ে আছে অথচ নতুন করে ১৫২ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে অথচ ঢাকায় অফিসারে পদ আছে সাকুল্যে৪০/৫০ টি। উপজেলাপোস্ট অফিসের জন্য ৫০০ টি সার্ভার কেনা হয়েছে ৫০০ টি যা ১ দিনের জন্যও কাজে লাগে নাই এগুলি বাক্সবন্দী আছে। ২০ হাজার পওস মেশিন কেনা হয়েছে যা কোনদিনইকাজে লাগবে না, আরো অনেক কিছুই আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু কেনাকনার নামে দুর্নিতি করার জন্যই সরকারি অর্থের এই অপচয় করা হচ্ছে। তাকে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সূাশয় সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছ। ডাকজীবন বীমা ভবনের কোন প্রয়োজন নাই শুধুমাত্র কমিশনের জন্য এই অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, ৪৩৩ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় মেইল প্রসেসিংসেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সম্পূর্ণব্যবহার উপযোগীভবন ভেংগে নতুন ভবন থৈরি করা হচ্ছে যেমন কুমিল্লা প্রধান ডাকঘর, সিলেট প্রধানডাঘরসহ আরে অনেক ভবন, ঢাকায়
Total Reply(0)
আবিদ রায়হান ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৩১ পিএম says : 0
ডাকজীবন বীমা ভবনের কোন প্রয়োজন নাই শুধুমাত্র কমিশনের জন্য এই অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, ৪৩৩ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় মেইল প্রসেসিংসেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সম্পূর্ণব্যবহার উপযোগীভবন ভেংগে নতুন ভবন তেরি করা হচ্ছে যেমন কুমিল্লা প্রধান ডাকঘর, সিলেট প্রধানডাঘরসহ আরে অনেক ভবন, ঢাকায় অফিসারদের বর্তমান বাসভবনগুলিই খালি পড়ে আছে অথচ নতুন করে ১৫২ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে অথচ ঢাকায় অফিসারে পদ আছে সাকুল্যে৪০/৫০ টি। উপজেলাপোস্ট অফিসের জন্য ৫০০ টি সার্ভার কেনা হয়েছে ৫০০ টি যা ১ দিনের জন্যও কাজে লাগে নাই এগুলি বাক্সবন্দী আছে। ২০ হাজার পওস মেশিন কেনা হয়েছে যা কোনদিনইকাজে লাগবে না, আরো অনেক কিছুই আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু কেনাকনার নামে দুর্নিতি করার জন্যই সরকারি অর্থের এই অপচয় করা হচ্ছে। তাকে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদাশয় সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ