প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুধাংশু শেখর ভদ্র (এসএস ভদ্র)কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থার উপ-পরিচালক মো.সালাহউদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদক সূত্র জানায়,প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র। দুর্নীতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি’ তদন্তেও উঠে আসে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মোটা অংকের অর্থ খরচ করে দুদকে চলমান অনুসন্ধানটিও ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আগের দিন করোনা পজেটিভ নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ভদ্র। এর জের ধরে নতুন করে আলোচনার বিষয়বস্তু হন এসএস ভদ্র্। প্রকল্পের নামে তার শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং হাজার হাজার কোটি সরকারি টাকার অপচয় তথা দুর্নীতির বিষয়টি সামনে চলে আসে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে নিয়ে পৃথক তদন্তে নামে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে দুদকে দীর্ঘ দিন চাপা পড়ে থাকা ফাইলটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর ‘ডাক ঘরে ৭০ কোটি টাকার মচ্ছব ও কাজে আসেনি ২০ হাজার পওস মেশিন’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক ইনকিলাবে। গত ২৪ নভেম্বর ‘সার্ভার না কিনেই শত কোটি টাকা খরচ’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে এসএস ভদ্র’র শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন দু’টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্তেও এসএস ভদ্রর প্রকল্পের নামে সাগর চুরির বিষয়টি উঠে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,ডাক বিভাগে গ্রাহক সেবার উৎকর্ষ সাধণের দিকে মনযোগ না দিয়ে তিনি একের পর এক উচ্চভিলাসী প্রকল্প হাতে নেন। শুধু মাত্র ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি প্রকল্প হাতে নেন। অথচ প্রকল্পের আওতায় কেনা হাজার হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন