শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বন্যার পানিতে পানচাষিদের হাহাকার

কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ৫ মাস ধরেই কর্মহীন সাধারন মানুষ। তার ওপরে মড়ার ওপড় ঘাড়ার ঘাঁ এর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে চলতি বছরের বন্যার পানি। এছাড়া আঁড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনতো লেগেই রয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে উপজেলার পানচাষিরা। সরকারি হিসেব মতে বন্যার পানিতে কালকিনি উপজেলায় ১৪ হেক্টর জমির পানের বরজ নষ্ট হয়ে ২ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষতির কথা বলা হলেও বাস্তবে এর পরিমাণ বহুগুণ বেশি।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ঘুড়ে দাঁড়াতে অর্থনৈতিক সার্পোটের জন্য ব্যাংক লোন নিতে গেলে সহজ শর্তে লোন মিলছেনা বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। তার ওপরে প্রণোদনার লোন নিতে গেলে পান চাষিদের বলা হচ্ছে তারা প্রণোদনার ৪% হারের সুদে লোন পাওয়ার আওতায় নেই। তাই নিজের বাঁচার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম পানের বরজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পান চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকল পান বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। আর দুই একটা যা রয়েছে তা দিন রাত মেশিন বসিয়ে পানি সেচ করা হচ্ছে।
ভূক্তভোগী পান চাষি ছালাম মোল্লা, মানিক হাওলাদার, রুবেল মৃধা, রকমত মজুমদার, রনি মোল্লা, কুদ্দুস মোল্লা, মালেক হাওলাদার, কুদ্দুস হাওলাদার, ফারুক বয়াতি, কামরুল বয়াতি, মস্তফা ঘরামি, ইকবাল হাওলাদার, হাকিম সিকদার, কাদের সিকদার, রহিম সিকদার, আক্কাস মোল্লা, সামচু সিকদার, নুরুল হক সিকদার, রাজ্জাক সিকদার, ছোট আশরাফ, সাহাদাৎ মোল্লা, কামাল মজুমদার, বাবুল মজুমদার, মনির মজুমদার, মিজানুর সিকদার, আনোয়ার সিকদার, নাসির সিকদারসহ ২-৩ শতাধিক চাষি বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে শুরু করতে সরকারি বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে, নয়তো আমরা পথে বসতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি অফিস ৫০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছি। ১৬টি ট্রেতে বীজতলা তৈরি করেছি। এছাড়াও এক একর জমিতে কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন