শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পিতাকে জমি দান, স্পষ্ট হচ্ছে স্বার্থসংশ্লিষ্টতা

মাহফুজুল হক আনার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দীর্ঘ ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা ঘটনার এখন পর্যন্ত কুল-কিনারা করতে পারেনি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি যে নিছক চুরি নয় বড় কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ধীরে ধীরে তা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র মতে গত রোববার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ঘোড়াঘাট উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১৮০ শতক জমি হস্তান্তরের একটি দলিলের কপি নিয়ে গেছে। তথ্য মতে গত ৪ মার্চ ৭২৯ নং দলিলে সম্পাদিত উপজেলা কার্যালয়ের পিছনে খোদাদপুর মৌজা’র ১নং খাস খতিয়ানের জমিটি ইউএনও’র পিতাকে (দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত) দান করেন জনৈক ফারুক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায় কোন এলাকার খাস জমি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এগিয়ে থাকে। আর উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা’র পিতার বরাবরে দানকৃত জমিতে দখল করা সহজ নয়। ফলে স্বার্থ রক্ষা এবং হানি দুটোই ঘটে থাকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে এখন পর্যন্ত কোন রাঘব বোয়াল বা প্রভাবশালী কেউ আটক খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগি বাজার এলাকা থেকে পালশা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মইনুল মাস্টারকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষকে সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেমননি ঘটনার পর থেকেই ঘটে আসছে। তবে ডিবি পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান বিষয়টি তদন্তে অনেক সংস্থাই কাজ করছে। প্রয়োজন মনে করলে তারাও জিঙ্গাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারে। এদিকে অধিকতর তদন্তের জন্য গত সোমবার ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টিম দিনাজপুরে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা সোমবার ভোর ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন। সিসি টিভির ডিভিআরসহ ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করেছেন।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না গত কয়েকদিন ধরেই। এ নিয়ে দিনাজপুরের গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গত মার্চ মাসে সম্মাদিত দলিলটি দান পত্র হওয়ার কি কারণ থাকতে পারে। জমি দানকারীর সাথে টিএনও’র পিতার বা তাদের পরিবারের মধ্যে কোন আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে। নাকি কোন বিষয়ে খুশি হয়েই দান করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ইউএনও’র পিতা বরাবরে জমি দানের তথ্য পেয়েছে এবং দলিলও উদঘাটন করেছে। যা কিনা প্রকৃত তথ্য উৎঘাটনে অনেকটা সহায়ক হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫০ এএম says : 0
বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর এখানে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পিতার নামে গত ৪ মার্চ ১৮০ শতক জমি হস্তান্তরের দলিল সম্পাদিত হয়েছে। জমিটি উপজেলা কার্যালয়ের পেছনে হওয়ায় এটা খুবই মূল্যবান জমি। এখন এই জমি সরকারি জমি খাস খতিয়ান ভুক্ত এই জমি কিভাবে রেজিষ্ট্রি হল সেটাও একটা প্রশ্ন। জমি রেজিষ্ট্রি করার সময় বিক্রেতার নামে পরচা সহ খাজনার রশীদ দেখিয়ে তারপর জমি বিক্রি করতে হয়। খাস খতিয়ান ভুক্ত সরকারি যায়গা কোন ভাবেই একজন ব্যাক্তির নামে পরচা হতে পারেনা। আবার খাস খতিয়ানের সরকারি যায়গার খাজনা কোন ব্যাক্তি পরিশোধ করে রশিদ নিতে পারেনা। তাহলে কিভাবে এসব কাজ হয়েছে সেটা বের করতে পারলেই আসোল বিষয় সামনে এসেযাবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন