ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র দেশবাসীকে হতবাক করেছিল। এখন আবার তিতাস গ্যাস চুরির হরিলুটে জনগণকে বিস্মিত করছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সকল সেক্টর দুর্নীতিবাজ, অসাধু, চোর বাটপারদের জালে বন্দি। নারায়ণগঞ্জের মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গ্যাস বিভাগের ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠছে। নারায়ণগঞ্জে বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ লাইনের ছড়াছড়ি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং তিতাস গ্যাসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে যে যেভাবে পেরেছে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। এমনকি মাটির ওপর দিয়ে প্লাস্টিকের পাইপ, জরাজীর্ণ লোহার পাইপ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নেয়া হয়েছে এসব অবৈধ গ্যাসের সংযোগ। ফলে যেকোনও সময় ঘটতে পারে নারায়ণগঞ্জের মসজিদের বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অপরদিকে এভাবে অবৈধ সংযোগ নেয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১৭৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস সংযোগ যার গ্রাহক দুই লাখ। শুধু আবাসিক বাসাবাড়িতেই নয়, বাণিজ্যিক লাইনেও রয়েছে অবৈধ সংযোগ নেয়ার উৎসব। সর্বাধিক অবৈধ লাইন বন্দর উপজেলায়। ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনেই রূপগঞ্জ ও বন্দরের বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তিতাসের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাহলে সহজেই বুঝা যায় দুর্নীতি কোন পর্যায়ে? তিনি বলেন, যদি একটি জেলায়ই শুধু ২ লাখ অবৈধ লাইন থাকে, তাহলে বাকি জেলাগুলোতে কী পরিমাণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে তা বলা বাহুল্য। তিনি বলেন, এক সময় একেকটি বিভাগের দুর্নীতি দেশবাসির সামনে চলে আসছে। এর আগে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি দেশবাসী দেখেছে। এখন গ্যাস বিভাগের দুর্নীতি দেখছে। তিনি বলেন, এভাবে রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশ একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে। যা আমাদের জন্য চরম অবমাননাকর। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে নেতৃত্বের সর্বস্তরে আল্লাহভীরু নেতা নির্বাচিত করতে হবে। ইসলামী অনুশাসন ছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত এ জাতিকে রক্ষা করা যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন