শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলে নাব্যতা সঙ্কটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিআইডবিøউটিএ এবং পদ্মা সেতু নির্মাণকারী চীনা প্রতিষ্ঠান ড্রেজিং করে যাচ্ছে চ্যানেলটি চালু করার জন্য। ড্রেজিং করার সাথে সাথে ১০-১২ বছর পূর্বে পড়া পদ্মার চরের বালু এসে আবার তা ভরে ফেলছে। ফলে কাটা আর ভরা চলছে সমানতালে। নাব্যতা ধরে রাখতে বিশেষজ্ঞদের অভিমতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। তা না হলে স্থায়ীভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ রুটে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত দুই দিন পরীক্ষামূলকভাবে ৩টি ফেরি চলার পর আবার তা বন্ধ করে দেয়া হয়। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার তীব্র ভাঙন তার সাথে চ্যানেলে নাব্যতা সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কট দূরীকরণে পরিকল্পিত পরিকল্পনা না থাকায় ড্রেজিংয়ের কাজে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত বছরও ১০-১২ বার নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ড্রেজারের কাটা বালু ফেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাটা বালু আবার নদীতে পড়ে ভরাট হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পিলার এবং পাশে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের জন্য নির্মিত খুটির আশপাশ এলাকায় নাব্যতা ধরে রাখতে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহলের অভিমত। নদীতে তীব্র স্রোত না থাকলে পিলারের গোড়ায় পলি জমতে থাকে। সেই পলি সরাতে নিয়মিত ওই এলাকায় ড্রেজিং করা প্রয়াজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন