টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের প্রধান সোর্স ডাকাত গিয়াস বাহিনীর আতংকে রঙ্গিখালীর মানুষের দিন কাটছে এখন আতঙ্কে। গত সোমবার এ বাহিনীর হামলা ও গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই এক প্রবাসী নিহত হওয়ার পর নতুন করে গ্রামের মানুষের মাঝে এ আতঙ্ক দেখা দেয়।
২৪ সেপ্টেম্বর নিহত প্রবাসী তৈয়বের পিতা রঙ্গীখালী স্কুল পাড়ার দুদু মিয়া বাদী হয়ে বাহিনী প্রধান ডাকাত গিয়াসকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ডাকাত গিয়াস বাহিনীকে নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকা ও টেলিভিশনে বেশ ক'টি সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়। এ সময়ে সাংবাদিকদের কাছে ছবি ও অপরাধের তথ্য দেয়ার অভিযোগে গিয়াস বাহীনির সদস্যরা ডাকাত গিয়াসের নেতৃত্বে হামলা করে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রবাসী তৈয়বকে গুলি করে হত্যা করে। এলাকাবাসীরা জানায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের প্রধান সোর্স ডাকাত গিয়াস ও তার বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের প্রবাসীদের বাড়ি ঘরে রাতের অন্ধকারে পুলিশ নিয়ে হামলা করত। নিরহ মানুষদের ধরে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কতিথ বন্দুকযুদ্ধে মেরে ফেলতেন।
এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা সম্প্রতি সরেজমিনে রিপোর্ট করলে এতে সহযোগিতা করার অপরাধে গিয়াস বাহিনীর টার্গেট হয় প্রবাসী তৈয়ব। এই কারণে গত সোমবার প্রকাশ্যে গুলি করলে ঘটনাস্থলে নিহত হয় প্রবাসী মোঃ তৈয়ব। এঘটনায় র্যাব অস্ত্রসহ গিয়াস ডাকাতের এক সহযোগী মোঃ হোছনকে আটক করলেও বাহিনির প্রধানসহ অন্যান্যরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
জানাযায়, ডাকাত গিয়াস ডজনখানেক মামলার আসামি,তার বিরুদ্ধে খুনসহ বহু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। রঙ্গিখালীর বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন ডাকাত গিয়াস ও তার বাহিনীর সদস্যরা ওসি প্রদীপের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে তারা বহু মামলার পলাতক আসামি হলেও এলাকায় বিচরন করত প্রকাশ্যে। বিনিময়ে ওসি প্রদীপের কাছে ধনাঢ্য প্রবাসীদের সন্ধান দিত তারা। তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মামলায় জড়িয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করত অনেককে। আবার কারো কারো মা বোনকে ধরে নিয়ে মামলা দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হত।গ্রামবাসীরা জানান এ ধরনের এখনো অসংখ্য নারী বিনা দোষে কারাগারে আটক আছে।
এদিকে সোমবার প্রবাসী তৈয়ব হত্যার ঘটনায় গিয়াস ডাকাতকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার (ভারপ্রাপ্ত) ওসি এবিএসএম দোহা। তিনি জানান অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন