শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রামেক পরিচালকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ

রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাবি সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২৪ পিএম

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের অবহেলায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালে মারা যান তিনি।
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন। জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি অচল হয়ে যায় বলে জানান তার সহপাঠী ও বিভাগের সভাপতি। আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। নগরীর লোকনাথ স্কুল মার্কেটের কাছে ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ তিনি থাকতেন বলে তার এক সহপাঠী জানিয়েছেন।
সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউয়ের প্রয়োজন পড়ে। তারা আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়। তবে এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের (ডাইরেক্টর) লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান। সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে মারা যান মামুন।
মামুনের সহপাঠী আলাউদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যা, ফুসফুসে পানি জমাসহ আলসার এবং জন্ডিসে আক্রান্ত ছিল মামুন। আগে থেকেই আক্রান্ত থাকলেও সপ্তাহ খানেক ধরে সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। পরে রামেকে পরীক্ষা করলে এ রোগগুলো ধরা পড়ে। এরপর দুটি ডায়ালোসিস করা হয়। আরেকটি ডায়ালোসিস করার আগেই ওর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক জানান, মামুনের বাবা ও তার তিন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিলেন। হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করতে আমার সহযোগিতা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন। রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র খুদে বার্তা দিয়ে আইসিইউয়ের জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান। ঘুমিয়ে থাকায় তখন তাতে সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই সে মারা যায় বলে জানতে পারি।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের উপ-পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন