সাভারে আশুলিয়ার ভাদাইলে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ কিশোরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে সন্দেহভাজন আটক রাকিব হোসেন নামে এক জনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেফতার তিন আসামিকে রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে কিশোর গাং এর ১৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরন ও ধর্ষনের মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিতার বড় বোন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার আকরাম হোসেনের ছেলে সাহরুফ (১৮), একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ডায়মন্ড আলামিন (১৮) ও আনছার আলীর ছেলে জাকির হোসেন (১৮)।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইলে এক কিশোরী শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার বড় বোন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কিশোর গাং এর ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া ধর্ষিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢামেক ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একমাস আগে আশুলিয়ার ভাদাইল গুলিয়ারচক এলাকায় বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন পেশায় শ্রমিক এক কিশোরী। ধর্ষকদের ধারণ করা ভিডিও ও ছবি পরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে কোন অভিযোগ না পেলেও পুলিশ বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়। শুরু করে তদন্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোরে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আলামিন, জাকির ও রাকিবকে আটক করা হয়। কিন্তু মামলার বর্তমান প্রধান আসামি কিশোর সাহরুফ আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনায় খালার বাড়িতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে তাকে আটক করে আশুলিয়া থানায় আনা হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় আগে সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করা হলেও এদের মধ্যে রাকিব নামের একজনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার তিন জনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট আশুলিয়ার ভাদাইল গুলিয়ারচক এলাকায় পেশায় শ্রমিক ওই কিশোরী তার দু:সম্পর্কের চাচা ও প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আরো এক কিশোরীসহ চারজন বেড়াতে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে কিছু দূরে একটি হাউজিং প্রকল্পের নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে কয়েকজন কিশোর। বাকী তিনজনকে মারধর করে দূরে বসিয়ে রাখা হয়। সন্ধ্যায় তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। চেষ্টা করা হয় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার। গেল তিন দিন আগে ওই গণধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন