বিতর্কিত নাগোরনো-করাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংগঠিত যুদ্ধে আজারবাজানের সেনাবাহিনীর ভয়াবহ আক্রমণের মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন আর্মেনীয় বাহিনীর। এতে দেশটির ৫৪৩তম রেজিমেন্টের সেনাসদস্যরা যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আজভিশন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ইউনিটের ৫৪৩তম রেজিমেন্টের সেনাসদস্যরা নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে আর্মেনিয়ার কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের সংঘাতে জড়িয়েছে। তবে কিছু গ্রামবাসীও যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তারা তাদের সন্তানদের যুদ্ধ থেকে প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধরত অঞ্চলের সড়কগুলো এড়িয়ে চলছে।
এছাড়া, হাদরুতের উত্তরে আঘদারার ৫তম ডেস্ট্রোয়ার রেজিমেন্টের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সেনাসদস্যদের অস্ত্র রেখে এবং পিছু হটতে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনরা আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে কারাবাখের জাবরাইল প্রদেশে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর একের পর এক আক্রমণের মুখে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ৫৫৬ রেজিমেন্ট।
এছাড়া মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত থেকে আঘদারা, ফুজুলি, জাবরাইল এবং গুবাদলি এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এসব এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে আর্মেনীয় বাহিনী। তাদের বেশ কিছু গোলাবারুদ ও বাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানি ঘটে।
আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আমরা লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়াভ বলেন, তার দেশ নিজভূমি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে আর্মেনিয়ার অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখলমুক্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, শত্রুরা আমাদের ভূমি ৩০ বছর ধরে দখলে রেখেছে। আমরা সেগুলো উদ্ধারে লড়াই করছি। এ যুদ্ধে বিজয় আমাদেরই হবে। প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন অঞ্চল দখলমুক্ত করছি। শত্রুরা পিছিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : সংবাদমাধ্যম আজভিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন