শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সীমান্ত সঙ্ঘাতে তিন আর্মেনীয় সেনা নিহত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১০:০১ এএম

আবারও সীমান্তে সঙ্ঘাতে জড়ালো আজারবাইজান ও আর্মেনীয় সেনারা। এতে তিন সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে যে সীমান্তে আজারবাইজানের সাথে সঙ্ঘাতে তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যেকার এ তীব্র সঙ্ঘাতের সময় আরো দু’আর্মেনীয় সেনা আহত হন। বুধবার আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পক্ষ থেকে এ সঙ্ঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করা হয়। গত বছর নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘটিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধের পর আবারো এ ব্যাপক সঙ্ঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দু’টি আলাদা বিবৃতিতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ সঙ্ঘাত শুরু করার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয় যে সটক গ্রামের কাছে এক তীব্র বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সটক গ্রাম আজারবাইজানের কেলবাজার অঞ্চলে অবস্থিত। নাগরনো-কারাবাখে সংঘটিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধের পর এ অঞ্চলটি আজারবাইজান দখল করে নেয়। ওই সময়ের বিভিন্ন সঙ্ঘাতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের ছয় হাজার পাঁচ শ’ সেনা নিহত হয়।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আজারবাইজানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সঙ্ঘাতের সূচনা করা হয়েছে। আজারবাইজানের সেনারা অবৈধভাবে আর্মেনীয় ভূখণ্ডে অবস্থান করছে।

অপরদিকে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বুধবার আর্মেনীয় সেনারা কেলবাজার অঞ্চলে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর দিকে গোলা ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলিতে দু’আজেরি সেনা আহত হয়েছেন।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরো বলা হয়েছে যে স্থানীয় সময় সকাল দশটার দিকে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ-বিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়। কিন্তু, ওই সময়ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর অবস্থানে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ট্যাঙ্ক ও মর্টারের গোলা ছোড়া অব্যাহত রাখে।

আজেরি কর্তৃপক্ষ আরো বলেছে, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে আর্মেনিয়াকে তার পুরো দায় নিতে হবে।

নাগরনো-কারাবাখে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ সংঘটিত হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় আজারবাইজানের সেনাবাহিনী জাতিগতভাবে আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত সেনাদের হটিয়ে নাগরনো-কারাবাখে বিশাল অংশ দখল করে নেয়। পরে রাশিয়ার প্রস্তাবিত যুদ্ধ-বিরতি অনুসারে সঙ্ঘাত থামে।

ওই এলাকা আর্মেনিয়া ১৯৯০ সালে অবৈধভাবে দখল করেছিল। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের অংশ বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

সূত্র : আল-জাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন