নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পরামর্শ শুরুর জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সহযোগিতা চেয়েছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। এরই মধ্যে সংঘাতে প্রাণহানি হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের। সংঘাত নিরসনে রাশিয়ার উদ্যোগে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান দুটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছার পরও লড়াই থামেনি। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তৃতীয় দফার অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ। সেটিও ব্যর্থ হলে শুক্রবার পুনরায় অস্ত্রবিরতির আলোচনায় বসলেও কোনও সমঝোতা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার জেনেভায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর পুতিনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন পাশিনিয়ান। চিঠির কথা জানিয়েছে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে আজারবাইজানের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আর্মেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে পরামর্শ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে করে আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়া কোনও ধরনের ও কী পরিমাণে সহযোগিতা দিতে পারবে তা নির্দিষ্ট করা যায়।
আর্মেনিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে রাশিয়ার। চলমান সংঘর্ষে সহযোগিতার বিষয়ে রাশিয়া এর আগে জানিয়েছে যে, তাদের প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় পড়ে না নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল।
তবে পাশনিয়ান চিঠিতে পুতিনকে বলেছেন, চলমান সংঘাত আর্মেনিয়া সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসছে এবং আজারবাইজানকে সহযোগিতা করছে তুরস্ক।
তিনি মস্কোকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান এবং দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ১৯৯৭ সালের বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও দ্বিপক্ষীয় সহায়তার চুক্তি পুনরায় সক্রিয় করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সেখানে বসবাসরত জনগণের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে আজেরি জনগণকে উচ্ছেদ করে। সেই থেকে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার দখলে রয়েছে। সূত্র : এএফপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন