এয়ারপোর্টে নামার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হবে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি.কে হালদারকে। এ কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পি.কে. হালদার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৬শ’ কোটি আত্মসাৎ এবং পাচার করেছেন-মর্মে মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, দেশে আসার বিষয়ে পিকে হালদার মত পরিবর্তন করেছেন। কেন করেছেন, জানি না। তিনি যখনই আসেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তিনি অসুস্থ কিনা জানি না। তিনি আসলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় এয়ারপোর্টে নামার সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে। আদালতের নির্দেশও তাই। উনি জেলে গেলে সেখান থেকে পাওনাদারদের পরিশোধ করতে পারবেন।
প্রশ্নের উত্তরে এএম আমিন উদ্দিন বলেন, একজন পলাতক ব্যক্তি, যা তিনি করেছেন, এটা নৈতিকতার মানদন্ডে উন্নীত নয়। কারণ কোন পলাতক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করার আগে কোন আইনি সুবিধা পেতে পারেন না। তিনি মিথ্যা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আদালতই ব্যবস্থা নেবেন।
প্রসঙ্গত: সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের গতকাল রোববার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলনের মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীকে জানান,অসুস্থজনিত কারণে আপাতত তিনি দেশে ফিরছেন না।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর পিকে হালদার দেশে ফেরার অনুমতি দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশে ফিরে কারাগারে আইনের হেফাজতে থেকে যাতে পিকে হালদার পাওনাদারদের টাকা পরিশোধে সহযোগিতা করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন