বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হিমাগারে আলুর মজুদ জানতে ডিসিদের চিঠি

পূর্বের তুলনায় বেশি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা : বিসিসি চেয়ারপারসন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিভিন্ন জেলার হিমাগারে কি পরিমান আলু মজুদ আছে জানতে সারাদেশে ডিসিদের কাচে জানতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। গত মঙ্গলবার এই চিঠি দেয়া হয়। চিঠি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলায় কি পরিমাণে আলু মজুদ আছে সেই তথ্য দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বছর যে সব হিমাগারে ১০০ টন আলু সংরক্ষণ করতো, এবার একই হিমাগার যদি ২০০ টন আলু মজুদ করে রাখে তবে তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম বলেছেন, সারাদেশের হিমাগারে কি পরিমাণে আলু মজুদ আছে তা জানতে ডিসিদের চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিসিরা চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলায় আলু মজুদের তথ্য দেবে। আলুতে কার্টেল (সিন্ডিকেট) হলেই আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে কোনো ধরনের যোগসাজশ কিংবা মনোপলি আচরণ করলে প্রতিযোগিতা কমিশন বসে থাকবে না। এই বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে তদারক করবো। আলুর ক্ষেত্রে বাজারে এক ধরনের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা চলছে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৭৫ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের বেশি। বাড়তি উৎপাদন হওয়ার পরও কয়েকদিন ধরে আলুর বাজার যেন আগুন। ভোক্তা পর্যায়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছে আলুর দাম। আলু উৎপাদন মৌসুমে এক-চতুর্থাংশ দামে কৃষকের কাছ থেকে কিনেছিলেন হিমাগার মালিক ও মজুদদার ব্যবসায়ীরা। এখন কৃষকের ঘরে আলু নেই। হিমাঘরে আলু মজুদ করেছে হিমাগার মালিক ও মজুদদার ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিপণন অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে দেশের অধিকাংশ জেলায় সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম চড়া। এ অবস্থায় সবজি হিসেবে আলুই ছিল নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা। এছাড়া করোনার সময় ত্রাণ হিসেবে সারাদেশে ব্যাপকভাবে আলুর ব্যবহার হয়েছে। এ
সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পণ্যটির বাজার অস্থির করে তুলেছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।

২০১৯-২০ মৌসুমে আলু উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। উৎপাদিত আলুর ৪০ লাখ টন হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ আলু হিমাগারগুলো থেকে বের করা হয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদফতর দাবি করে জানায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে ৩০ টাকা এবং হিম ঘরে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সারাদেশে সরকারিভাবে ৩৭১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা ৫০ লাখ টন। এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, দাম নির্ধারণের ফলে আলুর বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পাইকারী বাজারে ৩০ ও হিমাগারে ২৭ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা যখন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি তখন অনেকে ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করে। মোবাইল কোর্ট শেষে আবার পূর্বের অবস্থানে আলুর দাম চলে যাচ্ছে। তারপরও আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন