বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে পেয়াঁজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি সহ অনেক নিত্য পণ্যের পরে এবার দাম বাড়ল গোল আলুর। মাত্র তিনদিনে ২৫ ভাগ দাম বেড়ে ২০ টাকা কেজির গোল আলু এখন বরিশালের বাজারে বিক্রী হচ্ছে ২৫ টাকায়। পাইকারী বাজারে ১৮ টাকা থেকে ২২ টাকায় বিক্রী হচ্ছে গরীবের এ খাদ্য। গ্রামেগঞ্জের অনেক এলাকাতেও এ নিত্য পণ্যের দাম ২৭ টাকাও ছুয়েছে।
মৌসুমের শুরুতে এবার এখনো শীতকালীন সবজীর দাম আকাশ ছোয়া। এ অবস্থায় গোল আলুই ছিল গরীবের প্রধান সবজী। কিন্তু সেখানেও ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত পরায় নি¤œ ও নি¤œÑমধ্যবিত্তের এখন আরো বেহাল অবস্থা।
দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে ইতোমধ্যে মুসুর ডাল ১৩০ টাকা কেজীতে বিক্রী হচ্ছে। দেশী পেয়াঁজের কেজি ৬০টাকারও বেশী। ভারতীয় নি¤œমানের পেয়াঁজ বিক্রী হচ্ছে ৫৫ টাকা। চিনি শহরে ৮০, গ্রামে ৮৫ টাকা কেজি। লবন এখনো ৩৫ টাকা। সয়াবীন তেলের লিটার ১৬০-১৬৫ টাকা ছুয়েছে।
আর রান্নার গ্যাসের দাম গত ৩ মাসে ৩শ টাকারও বেশী বৃদ্ধি পেয়ে এখন শহরে ১ হাজার ৪শ, উপজেলায় পার্যায়ে আরো ৫০ টাকা বেশী দামে বিক্রী হচ্ছে। নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির এ দৌড়ে বিপর্যস্ত বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের নি¤œবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্তের সুস্থ জীবন ব্যাবস্থা। নির্ধারিত আয়ের মানুষের সংসারের চাকা ক্রমশ অচল হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বরিশাল মহানগরীর বড় বাজার, বটতলা বাজার ও নতুন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারন মানুষের হতাশার সাথে ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়াই শোনা গেছে। সবারই প্রশ্ন ছিল, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমরা বাঁচব কিভাবে’ ?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন