সাপ্তাহিক ছুটি, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বাড়তি যানবাহনের চাপে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট বড় ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়ঘাটে সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। এতে, বাস-কার যাত্রী ও ট্রাক শ্রমিকদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ট্রাকগুলোকে উথলী মোড়ে সারিবদ্ধভাবে রাখায় উথলী মোড় থেকে আরিচা সড়কেও সকালের দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিআইডব্লিউটিসির সূত্রে জানা গেছে,, গত বৃহস্পতিবার মধ্যেরাত থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গতকাল শুক্রবার এ চাপ অব্যাহত রয়েছে। সকালের দিকে যানবাহনের চাপ বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে, পাটুরিয়া ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে টার্মিনাল ছাড়িয়ে মহাসড়কে ২/৩ কিলোমিটার লাইনে গড়ায়।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের সহ-ব্যাবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, এ নৌরুটে চলাচলরত অধিকাংশ ফেরি পুরনো হওয়ায় মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে থাকে। এ কারণে ২/১টি ফেরি মাঝেমধ্যে স্থানীয় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে সাময়িক মেরামতে রাখতে বাধ্য হতে হয়। এ রুটের বহরের ১৮টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার করতে হিমশিম খেতে হয় । সাপ্তাহিক ছুটি ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে যানবাহনের চাপে এ ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। ফলে মালবাহী ট্রাকগুলো অপেক্ষায় রাখতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
উভয় ঘাটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে,, গত দুই দিন ধরেই এ ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার যানবাহনের চাপ অব্যাহত থাকায় পাটুরিয়ায় ৬ শতাধিক ও দৌলতদিয়ায় ৪ শতাধিক যানবাহন সবমিলিয়ে সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। তবে, উভয়ঘাটেই ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের মধ্যে পন্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে, পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজট মুক্ত রাখতে পাটুরিয়া ঘাট সংযোগ মোড় উথুলী থেকে মালবাহী ট্রাকগুলোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ লাইনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এতে এ সড়কেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে, দৌলতদিয়া ঘাটেও অনুরুপভাবে যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর অফিস সুত্রে জানা যায়, পদ্মা-যমুনায় দ্রুত পানি কমে যাচ্ছে। এ কারনে নৌ চ্যানেলগুলো সক্রিয় রাখতে ড্রেজিং অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আরিচা সড়কে মালবাহী ট্রাকগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রাখায় তাদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ রাস্তায় মাঝে মধ্যেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তাদের বিভিন্ন রকমের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন