ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপানদী গ্রামে আপন চাচির সহায়তায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রীটি তার পিতাকে নিয়ে থানায় এসে নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই গ্রামের আলমগীর মুন্সির ছেলে সাব্বির মুন্সি(১৯), ধর্ষণে সহায়তাকারী চাচি জাহিদ মিয়ার স্ত্রী রূপালী বেগম(২৮), ইমান শেখের ছেলে ইব্রাহীম শেখ(১৭) ও স্বপন মাতুব্বরের ছেলে আব্দুল্লাহ মাতুব্বর (১৮)সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহায়তা করার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।মামলার এজাহার এবং ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ওই স্কুল শিক্ষার্থী আপন চাচি রূপালী বেগমের কাছে রাতে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে চাচি তার মোবাইল ফোন দিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী এবং তার সহযোগী কয়েকজনকে ডেকে এনে স্কুল ছাত্রীটিকে ধর্ষণে সহায়তা করে। বিষয়টি যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য ধর্ষনকারীরা এবং চাচি স্কুলছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মেয়েটির অস্বাভাবিক আচরণে বিষয়টি বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। পরে পরিবারের সদস্যরা এলাকার গণ্যমান্যদের জানালে তারা এ নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে । অবশেষে বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তসহ তার সহযোগীরা।ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বলেন, আমি গরীব ফেরিওয়ালা, দিনের পর দিন বাহিরে ফেরি করে কোন রকমে সংসার চালাই। সাব্বির ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমি চাই।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন জানান, আসামিদের আটক করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তন্ াদেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। পরে পুলিশ সুপার এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে বলেন, যে কোন অপরাধীদের শাস্তির জন্য পুলিশ অসহায়দের পাশে এসে দাড়াবে। তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ মেয়েটির সহায়তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সমাজের বিবেকবানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাপীদের বিরুদ্বে একযোগে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ্।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ভাঙ্গা সার্কেল) গাজী রবিউল ইসলাম,থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুর রহমান,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার ভ’ইয়াসহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিধিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবৃন্দ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন