দিনাজপুরের বিরল থানার এসআই (নিরস্ত্র) ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আবারো বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার পূর্বক আত্মসাৎ করে দায়সারা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। মূল মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমন অভিযোগ এসআই ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক থাকায় বিরল থানাসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র হতে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোষাকে বিরল থানার ধুরন্ধর এসআই (নিরস্ত্র) ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ কনষ্টেবল মজিদুল, হরি চন্দ্র, উজ্জল ও কামরুলসহ তিনটি মটর সাইকেল যোগে বিরল উপজেলার ডুংডুংগী সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ধর্মপুর ইউপি’র বিল্লা গ্রামের মৃত-অফিনের পুত্র কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামী মিজান (৩৬) ও আলিম (৩৮) এবং একই ইউপি’র গোছহাটা গ্রামের মৃত-রশিদের পুত্র মানিককে ধাওয়া করে ৪০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। সুত্রটি নিশ্চিত করে জানায়, ভারতীয় নাগরিক সীমান্ত এলাকার কূখ্যাত মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী তাঁরছেড়া আফসার আলী সীঁমান্ত পিলার নং-৩২৬ এর সন্নিকটে কাঁটা তাঁরের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ভারতীয় ওই ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল এপারে রাতে পার করে দেয়। এই ফেন্সিডিল উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র ভারাডাঙ্গী ভাটাপাড়া গ্রামের কছিমুদ্দীনের পুত্র বর্তমানে দিনাজপুর শহরের সুইহারী পিটিঅই মোড় এলাকায় বসবাসকারী কুখ্যাত মাদক ব্যসায়ী আনোয়ার হোসেন সাগরের ছিল এবং তার নিকট পৌছানোর কথা। উল্লেখিত মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ ভাবে ওই ফেন্সিডিল বহন করার সময় পুলিশ তাদেরকে নাটকীয় ভাবে ধাওয়া করে ওই ৪০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এদিকে ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হলেও মাত্র ৬২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে উল্লেখিত মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখে মঙ্গলবার দুপুরে এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে জগতপুর পোড়াপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী ১) রুহুল আমিন (৪০) ২) আনোয়ার হোসেন সাগর (৪৫)সহ আরোও ২/৩জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বিরল থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা নং১১/২৬০ দায়ের করে। এব্যাপারে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বিরল থানার এসআই ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও গুনে দেখা হয়নি। পরে আপনাকে বিস্তারিত জানানো হবে। তারপর বিকালে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাকে আর কোন ভাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলাবার বিকাল ৫ টার দিকে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব জানান, এব্যাপারে বিরল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ৬২ বোতল উদ্ধার দেখিয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ কওে এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে এবিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন