যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা করছেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। আলবদর-আল শামস ও পাকিস্তানের দোসর ছিল। গতকাল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধীকারী ও বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ শব্দটি বাদ দেয়ার হুমকি দাতা মামুনুল হক গংদের ধৃষ্টতার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা নাট্যজন লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস, জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, বীরমুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, অভিনেত্রী দীপাবলী দীপা, সোনিয়া পারভীন শাপলা, দিলীপ সরকার, কন্ঠশিল্পী বিদ্যুৎ সরকার, রোকনউদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিশে^র অধ্যুষিত মুসলিম দেশেগুলোতেও ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানেও ভাস্কর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, গাজীপুরসহ সারাদেশে হাজার হাজার ভাস্কর্য রয়েছে, তা নিয়ে তারা কথা না বলে, হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলছেন। এটা কিসের ইঙ্গিত। এগুলো তারা কার নির্দেশে বলছেন। ধর্মের যারা অপব্যাখ্যা দেয়, সেই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ধর্ম তাদের কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। তাই আলেম সমাজকে কথা বলতে হবে, না হলে মানুষ ধরে নেবে ইসলামে জঙ্গিবাদের কথা আছে। যারা জঙ্গিবাদের কথা বলেন, তারা ইসলামের শত্রু। মানবতার শুত্রু। এদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি ধর্মের নামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে উক্তি করেছেন, তার প্রতিবাদের ভাষা জানা নেই। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা ঔদ্ধত্ত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, এটি সরকারকে খতিয়ে দেখা উচিত। বঙ্গবন্ধু কোনো যদু-মধু নয়। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। সংবিধানের ওপর আঘাত এসেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তারাধিকারীদের আর বসে থাকার সুযোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন