বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদ

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের শাস্তি দিতে হবে : আইজিপি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমান ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম এক প্রতিবাদ সমাবেশে গতকাল শনিবার আইজিপি এ আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৯টি ক্যাডারের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন আইন-শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জনগণকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলা সংবিধান, রাষ্ট্র ও এদেশের জনগণের ওপরে হামলা। রাষ্ট্র এ হামলা আইন, বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবিলা করবে। বঙ্গবন্ধু মানেই হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের সংবিধানের অংশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয় যাচ্ছে। আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি, টেনে-হিঁচড়ে দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ।

দেশের মানুষের আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধার কথা স্মরণ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের মানুষের ঈমাম-আলেমদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আলেম, সুফি-সাধকরা এ অঞ্চলের ধর্ম প্রচার করেছেন। তারা কখনোই শক্তি বা তরবারি ব্যবহার করে ধর্ম প্রচার করেননি। ভালোবাসার মাধ্যমে তারা আল্লাহ তাআলার বাণী প্রচার করেছেন। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

আইজিপি বলেন, ধর্মকে পুঁজি করে অনেকেই রাজনীতিতে জায়গা নিতে চান। দেশটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মৌলবাদী তকমা দিতে চান। এই শ্রেণির মানুষরা কোন উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। আমাদের দেশ তো মৌলবাদী দেশ না। বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। এক শ্রেণির মানুষ কার ইশারায়, কোন ইঙ্গিতে, কার লক্ষ্যে ও কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেশকে মৌলবাদী তকমা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপরে আঘাত কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। অনুষ্ঠানে সরকারের সিনিয়র সচিব, সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, ২৯টি ক্যাডারের কর্মকর্তা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের মতো জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও অসা¤প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য পুনরায় শপথ নেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধু ও দেশের বিরুদ্ধে অপচেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে দেশজুড়ে মানববন্ধন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবমাননার প্রতিবাদে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ডাকে ব্যবসায়ীরা গতকাল দেশজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বে আয়োজিত মানবন্ধনে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডিরেক্টর, সদস্য সংগঠন ও চেম্বারের নেতাসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এছাড়া একই সময়ে দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরগুলোয় একসঙ্গে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসব মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এফবিসিসিআই ক্লাউড কনফারেন্সের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে যুক্ত হয়ে সমস্বরে প্রতিবাদ জানায়।

মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী খাতের সকল সংগঠন সমাবেত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননার প্রতিবাদ জানানোর জন্য। জাতির জনকের প্রতি অবমাননা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত কখনো মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগেস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নামটাই বাংলাদেশ থেকে মুছে দেয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। কিন্তু এসব অপচেষ্টা কখনো সফল হয়নি, হবে না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে একটি শ্রেণী বাংলাদেশের যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য, ভুল শিক্ষা দেয়ার জন্য অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের সেই দুরাভিসন্ধি কখনো সফল হবে না।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। উনার রোপন করা সোনার বাংলা বিস্তার লাভ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সাল থেকে উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে বেসরকারি খাতের যারা এখানে সমাবেত হয়েছে, তারা এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতির পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেবে, তাদের সবার জন্য এই মানববন্ধন একটি সতর্কবাণী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের চেষ্টায় আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালার রহমতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদের লেবাস পড়ে কোন স্বার্থান্বেষী মহল বঙ্গবন্ধুকে অবমানননা, ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিল করতে দেয়া হবে না।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, জাতির জনককে যারা অবমাননা করবে, তাদের চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের আছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের দুঃসাহস দেখাবে নিশ্চয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইনানুয়ায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বঙ্গবন্ধুতে আঘাত করা মানে স্বাধীনতাকে আঘাত করা, দেশকে আঘাত করা। যারা এ ধরনের কর্মকান্ড করে, আমরা অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করব।

বায়রার প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই। পাকিস্তানী দোসরদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাব।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, যারা একদিন স্বাধীনতা চাইনি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালে বাঙ্গালী জাতির মহানায়ককে হত্যা করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে তারা আজো ধর্মের নামে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কখনো এটা সহ্য করবো না।

এফবিসিসিআইয়ের ডিরেক্টর সালাউদ্দিন আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হয়েও দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর কিছুদিনের মধ্যেই তা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। সেই দেশে কোন অপশক্তির অপপ্রয়াস গ্রহণযোগ্য নয়। যদি ব্যবসায়ীরা চায়, তাহলে কালকে থেকে আপনার ঘরে লবণ পৌঁছাবে না, চিনি পৌঁছাবে না। এফবসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে সকল অপশক্তিকে প্রতিরোধ করবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে তাদের সতর্ক করে বলছি, এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আমরা তা মেনে নেব না।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যাদের সন্তানরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে বলতে চাই, আপনার যে সন্তান জাতির জনককে সম্মান দিতে জানে না, সে সন্তান আপনাকেও সম্মান দেবে না।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের একমাত্র এজেন্ডা হওয়া উচিত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কোন স্থান হবে না।

বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশননের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ধর্মকে পুঁজি করে একটি মহল বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে। আমার ব্যবসায়ী মহল তা হতে দেব না।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার তীব্র নিন্দা জানান।

বিজিএমইএর সভাপতি পদপ্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইছে। আমরা তা মেনে নেব না।

এফবিসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম রেজনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মনিরুজ্জামন মনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মানববন্ধনে এফবিসিসিআইয়েরে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজামুদ্দিন রাজেশসহ, ডিরেক্টর সুজীব রঞ্জন দাশ, মনির হোসেন, প্রবীর কুমার সাহা, তাবারুকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, আবুল আয়েস খান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. নিজাম উদ্দিন, খন্দকার মঈনুর রহমান (জুয়েল), হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান, রিয়াদ আলী, মেহেদী আলী, আবদুল হক, সাদাত আলমাস কবির, প্রীতি চক্রবর্তীসহ খাত ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। আর জেলা পর্যায়ে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় চেম্বারের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক-সরকারি কর্মকর্তাদের সমাবেশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিচারকেরা। তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাঙা ভাস্কর্য দেখে বিচারকদের হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর দামপাড়ায় পুনাকের সামনে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধনে শরিক হন বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় একশ’ জন বিচারক। ব্যানারে লেখা ছিলো ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো আমরা অমøান’।

সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিচারকরা এম এম আলী রোডে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে যান। এ সময় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে জাতি আজ বিক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদমুখর। বিচারকেরাও এই জাতির অংশ। তারা এদেশের নাগরিক। বিচারকদেরও দায়িত্ব আছে নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার।’

তিনি বলেন, ‘আজ চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। তারা দেশ ও জাতিকে জানাতে চাচ্ছে যে, বিচারকরা শুধু বিচার নয়, প্রতিবাদও করতে জানে। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের কাছে কোনো আপস নেই। সংবিধান জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণœ রাখার জন্য বিচারকদের দায়িত্ব দিয়েছে।’ পরে শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর বীরত্বগাঁথা শোনানোর পাশাপাশি ভাস্কর্য বিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে একে একে বক্তৃতা করেন বিচারকসহ সবর্স্তরের সরকারি কমকর্তারা।

জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিচারকরাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ এক হয়েছি, আমরা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বুঝিয়ে দিতে চাই যে, আমরা একত্রিত। আমরা সবাই মৌলবাদের বিরুদ্ধে, এই ম্যাসেজ দিতে চাই।’

মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান বলেন, ‘জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা আমাদের নাড়া দিয়েছে। ছোটোবেলায় দেখেছি, গ্রামের বখাটে-খারাপ স্বভাবের ছেলেটাকেই মাথা ঠান্ডা করার কথা বলে মাদরাসায় দেওয়া হয়। মেধাবী ছেলেদের কেউ মাদরাসায় দেয় না। এভাবে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাটা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখান থেকে আর ভালো কিছু আসছে না। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার যে ঘটনা এই প্রতিক্রিয়াশীল গ্রæপ ঘটালো, তাতে মনে হয়েছে, তারা ইসলামের ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি করেছে।’

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘২০২১ সাল এবং ২০৪১ সালকে ঘিরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্তে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে এই অপচেষ্টা রুখে দেবে’

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে, যারা হুমকি দিচ্ছে তারা সবাই একাত্তরের ঘৃণ্য পরাজিত শক্তি। তাদের আমরা প্রতিহত করব।’ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মিয়া, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোশাররফ আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ।

গাজীপুর : প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। সভায় গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ জেলায় কর্মরত সকল বিভাগের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা ও দায়েরা জজ মো. শহীদুল্লাহ, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। এদিকে একই দাবিতে দুপরে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি তাদের কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে। এতে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ সালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুন কর্মকার, বক্তব্য দেন।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম.এ রব হাওলাদার। বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা জজ মো. রুস্তম আলী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গোলাম সারোয়ার প্রমুখ। জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহসান কবীর এপ্লব, সহ সভাপতি মাহাবুব ইসলাম, পরিচালক আব্দুল হাকিম মন্ডল, প্রমুখ।

মাদারীপুর : মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর রেবতি মোহন সরকার, সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর রীনা রানী বৈদ্য, জেলা শিক্ষা অফিসার সুবল চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম খলিলুলজ্জামান, প্রমূখ।

নাটোর : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহ্ রিয়াজের সভাপতিত্বে নাটোরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এরশাদ উদ্দিন, সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান, জেলা দায়রা জজ আবদূর রহমান সরদার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট হাবিবুর রহমান সিদ্দিকি, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার গোলাম রাব্বি, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সিকদার, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলমসহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ।

এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খান আহমেদ শুভ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, প্রমুখ।

ঠাকুরগাঁও : জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল আবু বকর ছিদ্দিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেনসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় ফারুকী পার্ক স্মৃতি সৌধ চত্বরে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী মহিলা কলেজের পি্িরন্সপাল প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

বদলগাছী (নওগাঁ) : উপজেলা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. আবু তাহির, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. সুমন জিহাদী, উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলী, প্রমূখ।

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : চিরিরবন্দরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইরতিজা হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার প্রমূখ।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আজগর আলী, দৌলতপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, দেবিদ্বার থানার (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার কবিরাজসহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন মাদরাসা ও মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও উপজেলার সকল দপ্তরের ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাহী অফিসার মো. সামিউল হক এর নেতৃত্বে এ র‌্যালি শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) অন্তরা হালদার, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমানসহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদের নেতৃত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. এম মতিউর রহমান, ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকাসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহাকারী কমিশনার (ভ‚মি) সাঈদা পারভীন, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম খান, ঈশ্বরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা এএসএম সানোয়ার রাসেল, প্রমুখ।

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আদনান চৌধুরী, কালিয়াকৈর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার প্রমূখ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভ‚মি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহসিনউদ্দিন, থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ লুৎফর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা মনিরউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) : কুলিয়ারচরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াত ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সর্বস্তরের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী অংশগ্রহন করে এবং জাতিরজনকের সন্মান অক্ষুন্ন রাখার অঙ্গীকর ব্যক্ত করে।

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় র‌্যালি ও সমাবেশে অংশ নেয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আকাশ কুমার কুন্ড ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জ মো. মাসুদুজ্জামানসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালীর) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. রায়হান-উজ্জামান, মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলামসহ উপজেলা প্রসাশনের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু, মেয়র আব্দুল মালেক, ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভ‚ঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল, সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন বিশ্বাস, কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রমুখ।

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন, কাউখালি, নেছারাবাদ সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) শেখ রিয়াজ উদ্দীন, অফিসার ইন চার্জ আবির মোহাম্মদ হোসেন, সহকারি কমিশনার ভ‚মি বশির গাজী, কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ প্রমুখ।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ প্রতিরোধ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আফিফা খাঁন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরজাহান আরা খাতুন, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত কবির, মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, প্রমুখ।

সেনবাগ (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর সেনবাগে ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধনে উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।

শিবচর (মাদারীপুর) : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান সভাপতিত্বে শিবচরে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. রাকিবুল হাসান, অফিসার ইনচার্জ মো. মিরাজ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হারুন উর রশীদসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা, সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদা আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা মনিরা প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
মোঃ দুলাল মিয়া ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
সারাদেশের মানুষের খাই দাই আর কাম নাই।কোথায় সারাদেশের মানুষ। সব মিথ্যা কথা। হিম্মত থাকলে নিরপক্ষ একজন নির্বাচন কমিশন কে দিয়ে। ভাস্কর্যের বেপারে। (হা) ( না ) ভোট দিয়ে দেখা ও বেকবাস বলিলেই হয়ে গেল সারাদেশের মানুষ
Total Reply(0)
মিনহাজ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৩৬ এএম says : 0
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের কথার সাথে আমি একমত
Total Reply(0)
রোমান ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৪২ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলাম বুঝার তৌফিক দান করুক
Total Reply(0)
Nadim ahmed ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৫২ পিএম says : 0
এইলোক গুলো জানে বংগবন্ধূর মূর্তী কারা ভেঙ্গেছে, কিন্তু দেখুন তারা প্রতিবাদ কার বিরূদ্ধে করছে। ওরা কি যন্ত্রমানব হয়ে গেল যা Programming দেওয়া হচ্ছে সেই মত কাজ করছে? এরা বিবেক হারিয়ে ফেলেছে?।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন