বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী গতকাল বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দন্ডবিধির ৫০০/৫০৬/৪২৭/১০৯ ধারায় মামলাটির আবেদন করেন। সেখানে মানহানি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছেন।
এছাড়াও এই মামলায় হেফাজত ইসলামের আমির জুনাইদ আহমেদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করিমকেও আসামি করা হয়েছে।
সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো ও জাতির পিতার চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানিদের দালালচক্র বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ইসলামিক জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গুন্ডবাহিনী দিয়ে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যের একটি হাত ভেঙে দেয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের মধুর ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙে দেয়’।
আরজিতে বাদী বলেন, “ন্যায়বিচারের স্বার্থে দন্ডবিধির ৫০০/৫০৬/১০৯ ও ৪২৭ ধারায় তাদের আসামি করে, অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।“ এবি সিদ্দিকী পরে বলেন, এ নিয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় সাতটি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দশটি মামলা করলেন।
১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবন মিলনায়তনে হেফাজত ইসলামের আলোচনা সভায় হেফাজত ইসলামের মামুনুল ‘বাংলাদেশে কোনো ধরনের ভাস্কর্য থাকবে না এবং জাতির পিতার ভাস্কর্য করতে দেওয়া হবে না’ এমন হুমকি দেন বলে আরজিতে অভিযোগ করা হয়।
আর ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে হেফাজতের আমির বাবুনগরী সরকারের প্রতি ‘ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ না করলে আরও একটি শাপলা চত্বর ঘটানোর’ হুমকি দেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে ইসলামিক আন্দোলনের জনসভায় ফয়জুল হকও ‘ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলার ও শাপলা চত্বরে জমায়েতের’ হুমকি দেন বলে আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন