মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে বের করা ভাস্কর্যবিরোধী মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে এ মিছিল বের করা হলে ১৫জনকে এ সময় পুলিশ আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়।

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু বলেন, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে আমরা আগে থেকে অ্যালার্ট ছিলাম। হঠাৎ করে একদল হুজুর বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিল। আমরা পল্টনে ব্যরিকেড দিয়েছিলাম। তারা সেটা ভেঙে ফেলে। এরপর আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের সামনে কোনও ব্যানার ছিল না। হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে মিছিল শুরু করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা।

সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের প্রচার সচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম জানান, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর জুমার পর দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কর্মসূচি পালনে রাজধানীতে সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। আমরা শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করি।

উল্লেখ্য, গতকাল জুমার নামাজের শুরু থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকাকে কেন্দ্র করে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল পল্টন এলাকায়। মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি চালায় পুলিশ। জুমার নামাজের পর সাধারন মুসল্লিরা উত্তর গেটের সিঁড়িতে জড়ো হতে থাকে, তাদের সঙ্গে কয়েকটি ইসলামি দলের সদস্যরা যোগ দেন। এক পর্যায়ে বেশ কিছু লোক রাস্তায় নেমে মিছিল শুরু করলে পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ফের মসজিদের ভেতরে চলে যায়। পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে ফের মিছিল শুরু করে তারা। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Yusuf samin ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২২ এএম says : 0
হে পুলিশ সদস্য। যাদের কে লাঠিচার্জ করতেছ। নিজের বিবেক দিয়ে একটু ভেবে দেখ।,,,,বাকি টা অসমাপ্ত রেখে দিলাম।
Total Reply(0)
Mohona ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৩ এএম says : 0
এর বিচার আল্লাহ্ একদিন এই জমিনের উপর অবশ্যই করবেই করবে!
Total Reply(0)
Unit chief ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৪ এএম says : 0
দেশটা কি উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্হার দিকে যাচ্ছে! ভাস্কর্য হোক বা আর যেটা হোক,, সেটা যদি মানুষের আকৃতির হয়, এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা প্রত্যেক কথা বলা ঈমানী দায়িত্ব,
Total Reply(0)
Neamat Ullah ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৪ এএম says : 0
যারা ঘুষ এর নাম দিয়েছে গিফট সুদের নাম দিয়েছে ইন্টারেস্ট আর মদের নাম দিয়েছেন ড্রিংকস তারাই মূর্তির নাম দিয়েছে ভাস্কর্য ,
Total Reply(0)
Kader sheikh ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৫ এএম says : 0
যার মাথায় ৩০ পারা কোরান আছে তার গায়ে হাত দিয়োছো, ফলাফল ভয়াবহ হবে,,,,
Total Reply(0)
Jaker ali ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৬ এএম says : 0
পুলিশ ভাই আজ যাদের লাঠিচার্জ করেছেন তারা আপনার দাদা দাদী বাবা মায়ের বিয়ে পরিয়ে ছিলো আপনি যেদিন ধুনিয়াতে এসেছিলেন সেদিন তারা ই আজান দিয়েছিলো আবার যখন ধুনিয়া ছেরে চলে জাবেন আপনার জানাজা পরাতে তারা ই কোনু মর্তী পুজারি আসবেনা সুতারাং অবৈধ সরকারের চক্রান্তে পরে অতিথ ও বিভিষত বোলে জাবেন না
Total Reply(0)
Hafiz ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৭ এএম says : 0
পুলিশ ভাইয়েরা তোদেরকেও একদিন ফেরেস্তারা এইভাবে টেনে হেঁচড়ে দোযখে নিয়ে যাবে !
Total Reply(0)
Harun ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:২৮ এএম says : 0
ছি তোমরা মুসলিম পরিবারের সন্তান ছুড়ে পেল তোমার এ সরকারের গোলামির চাকুরী। যেখানে তোমার ইসলাম ও ঈমানের উপর হামলা মনে রাখা উছিত আপনি একজন মুসলিম ?
Total Reply(0)
মোঃ দুলাল মিয়া ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:১৮ এএম says : 0
আমি একটা কথা আজ না বলে পারি না দুঃখের বিষয়। পুলিশ, আমার বাবা আমার দাদা চাচা কাকা আত্মীয়। অথবা আমাদের শিক্ষক আমাদের ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত করে ইসলামের বাণী আমারদের শিক্ষা দিয়েছে।আজ আমাদের সামনে তাদের লাঠি দিয়ে পিটাইতেছে।অথচ আমরা সবাই দুরে থেকে দেখি কেন রকম পতিবাদ করিনা আসলে আমরা কি পকৃত মুসলিম না কি জানতে চাই ।আমি মনে করি দুর থেকে দেখলাম বিনা দোষে আমাদের আলেম মোল্লা হাফেজ মুফতি এবংইসলামী চিন্তাবিদ তাদের অত্যাচার করতেছে আমরা কিছু বললাম না তাহা কি উচিত হবে। হায়রে মানুষ চোখ থাকতে অন্ধ। আমি মনে করি আমি আপনি মোল্লা মৌলভী মুফতি হাফেজ মাওলানা কারি যদিও না হইয়া থাকি তবে আমি আপনি একজন মুসলিম। আমাদের নবীকরিম(সঃ)থেকে শুরু করে শেষ এখন পযন্ত এই আলেম হাফেজ মাওলানা মৌলভী মুফতি এরাইতে আমাদের ইসলামের আদর্শ ইসলামের বাণী ইসলামের পথ আল্লা রাসুলকে কি ভাবে পাবে।এরাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে এবং কিয়ামত পযন্ত শিক্ষা দিবে এবং তাদের থেকে আমরা শিক্ষা নিতে হবে নয়তে আমরা কেনপথে যাবে। আমাদের যারা পরবতীর্তে আসবে তাহারা কি জানবে কি শিক্ষা নিবে।তাই মুসলমান ভাই যদি হইয়া থাকেন বসে থাকবেন না ।মাওলানা মোল্লা মৌলভী মুফতি হাফেজ এরা আসলে নায়েবে রাসুল এদের জন্য আমরা পতিবাদ করে যদি আমরা শহীদ ও হয়ে যাই হাদিস কোরআন মোতাবেক যাহা শুনিয়াছি অবশ্যিই আমি আপনি জাননাতবাসী হবে।তাই নিজের চোখের সামনে তাদের পিটাইলে অত্যাচার করলে পতিবাদ করুন। এই পুলিশ বাহিনী কি করবে এই অবহেলিত সরকার কি করবে জনগণ যাদের প্রত্যক্ষান করছে ।তারা জের করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আজ আমরা এই বাংলাদেশে নব্বই পার্সেন্ট মুসলিম অসহায়। অবশ্য আমাদের ও দোষ আছে আমরা ভাল মন্দ সব ভুলতে চলেছি ।এখন ও সময় আছে নিজের চলুন সবাই মিলে আল্লা ও রাসুলের বিরোধীদের পতিহতে করি।আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু।
Total Reply(0)
এক পথিক ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৪০ এএম says : 0
হে পুলিশ, আজ তোমরা সরকারের তাবেদার হয়ে আলেমদের পেটাও; জেনে রেখো মহান আল্লাহ বলেছেন " কুল্লু নাফসিন যা ইকাতুল মাউত", অর্থাৎ প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। একবারও কি ভেবেছো মৃত্যুর পর তোমাদের প্রত্যেকের ভাগ্যে কি জুটবে?
Total Reply(0)
আঃরহমান ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৪১ এএম says : 0
আমার বিভিন্ন দলে মতে বিভক্ত হওয়ার কারনে তাদের এতো সাহস। দল মতো ভুলে যদি আমরা এক হতে পারতাম তার হলে বাতিল ১মিনিট দাড়াতে পারবে না।
Total Reply(0)
আবদুর রাফি ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম says : 0
হিন্দুদের মিছিলে হেফাজতকে যখন পাকিস্তানি বলা হল, মুসলিমদের আস্তানা গুড়িয়ে দিতে বলা হল তখন পুলিশ কোথায় ছিল। নাকি পুলিশবাহিনীর সব অফিসার ভারতের লোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন