জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চলছে পুকুর খননের উৎসব। এতে পরিবর্তিত হচ্ছে জমির শ্রেণি। উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের বড় মাঠে চলছে এই পুকুর খনন। এতে দিন দিন কমে আসছে আবাদি জমি। এখানকার উৎপাদিত শস্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় খাদ্যভান্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে আশঙ্কাজনক হারে কমছে আবাদি জমি।
অসাধু মাটি ব্যবসায়ী উপজেলার গোপীনাথপুরের বেলঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র আবু বক্কর প্রভাবখাটিয়ে পুকুর খনন করছেন। তিন ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন কাজ চললেও প্রশাসনের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে সমতল ফসলি জমি খনন করে পুকুর তৈরি করছে। এতে এক দিকে যেমন জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে, অন্যদিকে আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমি। প্রতি বছর বিশেষ করে এই সময়ে এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা সহজ সরল কৃষদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির ওপরের স্তরের (টপ সোয়েল) উর্বর মাটি কেটে ইটভাটা, বাড়ি তৈরি জায়গা ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে তারা এই মাটি বিক্রি করছে। এই অবৈধ কাজ নিয়মিত চলামান থাকলেও উপজেলা প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী আবু বক্করের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের উৎপাদন কমছে। আমি বিভিন্ন সময় জমি পরিদর্শন করে পুকুর খনন করতে নিষেধ করেছি। তবে কেউ আমাদের কথা মানছে না। এছাড়াও বিভিন্ন মিটিং এ বিষয়টি উত্থাপন করলেও কোন সমাধান হয়নি’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন