উত্তরাঞ্চলের পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুরে জেঁকে বসেছে শীত। সপ্তাহজুরে শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্রশীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টাতেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে সড়কগুলিতে কমে গেছে যান চলাচল। বাজার-ঘাটেও কমেছে মানুষের আনাগোনা।তবে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান গুলিতে খেটেখাওয়া মানুষের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।তীব্রশীতের কারণে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারীরা। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ।অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে জীবনযাত্রা থমকে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। কাজকর্মে গতি কমে যাওয়ায় অনেকের রোজগার কমে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়া, বেলা ১২টাতেও ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন চারিদিক। কোথাও দেখা মেলেনি সুর্যের। অধিকাংশ রাস্তায় ঘন কুয়াশায় যাত্রী ও মালবাহী যানগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছে এই উপজেলার হাজারো নি¤œ আয়েরে মানুষ। খেটেখাওয়া মানুষ গুলি জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়েছে। শীত থেকে বাঁচতে তার সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকে হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়েছেন খাবারের সন্ধানে। আবার অনেকই শীতবস্ত্রের অভাবে তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার অপেক্ষায়। অনেককেই দেখা গেছে খড়-খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে।
কথা হয় মজিদ নামের এক ভ্যান চালকের সঙ্গে তিনি বলেন,‘সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি শীতের কারণে এখন পর্যন্ত যাত্রীর দেখা মিলছে না। সারাদিন এ রকম থাকলে যাত্রী পাবো না।’
কথা কালাম হোসেন নামের এক দিনমুজুরের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ঘনকুয়াশা আর কঠিন শীত পড়ছে। শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘লালপুর উপজেলায় সরকারী ভাবে ৪হাজার ৫০০টি কম্বল এসেছে। ইতি মধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। দ্রæত শীতবস্ত্র গুলি শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন