শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিনা নোটিশে রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত শুরু করার অভিযোগ

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:২০ পিএম

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের প্রজ্ঞাপনকে পাশ কাটিয়ে ও কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই শুরুর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার আখ মাড়াই বন্ধঘোষিত এ চিনিকলের কারখানা বিভাগের ৯২ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে মৌখিক নির্দেশে চাকুরীচ্যুতির কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে তাদের আর কাজে যোগ দিতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। গত ২০ ডিসেম্বর সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে মাড়াই বন্ধঘোষিত সকল চিনিকলের কোন শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করা হবে না বলা হলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে বছরের শেষ দিনে চিনিকল কর্তৃপক্ষের মৌখিক এ নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্টরা সহ এলাকাবাসী।

রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবারও তারা কাজে যোগ দেন। দিন শেষে ছুটির কিছুক্ষণ আগে মৌখিক ভাবে তাদের পরবর্তী কর্মদিবসে আর কাজে যোগ দিতে না করে দেয়া হয়। রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু বিষয়টিকে শুধু অমানবিকই নয়, চাকুরীবিধির সুস্পষ্ট লংঘন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, চিনিকল আধুনিকায়নের জন্য রংপুর চিনিকলসহ ছয়টি চিনিকলে মাড়াই বন্ধ হলেও এখানকার কাউকে ছাঁটাই করা হবে না, যথাযথ বেতন/মজুরী প্রদান করা হবে বলে বিএসএফআইসি’র চীফ অব পার্সোনেল মো: রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। সেটি প্রেস রিলিজ আকারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করাও হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে কোন প্রকার নোটিশ বা চিঠি না দিয়ে চিনিকলের ৯২ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে মৌখিক নির্দেশে চাকুরীচ্যুত করতে পারে না কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ নিয়োগ বিধি মেনে চাকুরী পাওয়া এতগুলো মানুষকে পথে বসানোর অধিকার কারও নেই। কারখানার স্টোর বিভাগের ক্লার্ক-কাম-স্টোর কীপার ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপন মোতাবেক সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের কাছে পরীক্ষা দিয়ে চাকুরী পেয়েছি। এখন কোন নিয়োম-নীতির তোয়াক্কা না করে আমাদের চাকুরী নেই বলে জানানো কোনভাবেই উচিৎ নয়।

রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নূরুল কবির জানান, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেকই কারখানার কানামনা (কাজ নাই, মজুরী নাই) ৯২ জনকে কাজে না আসতে বলা হয়েছে। মাড়াই বন্ধ থাকায় যেহেতু কারখানা চলছে না, সে জন্যেই তারা বাদ পড়েছেন। শনিবার এ বিষয়ে চিনিকলের বোর্ডে নোটিশ টানিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই চাকুরীতে বহাল রাখা সম্ভব নয়। তবে চিনিকল আবার চালু হলে চাকুরী হারানোদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

এ দিকে রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল টেলিফোনে জানান, চিনিকলের বিষয় নিয়ে ঢাকায় মিটিং-এ থাকা অবস্থায় অন্যায় ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন