শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভরা মৌসমে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি

হিলি স্থলবন্দর

হিলি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের হাট-বাজারে উঠেছে নতুন পেঁয়াজ। বাজারে প্রচুর পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় দামও কমে গেছে। টিসিবি কম মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। এ অবস্থায় ভারতের মোদী সরকার পহেলা জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দিয়েছে। দেশের কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম ফেলতেই শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী।

সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত অভ্যন্তরীণ সঙ্কট দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাকগুলো স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন। তিনি জানান, সাড়ে ৩ মাস হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর গতকাল বিকেল থেকে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, আমার এক ট্রাক (১৯ টন) পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ২৫০ ডলারে ভারত থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করা হয়েছে। দেশের বাজারে তা ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবো।

ভোমরায় পেঁয়াজ ঢুকছে :
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে পেয়াঁজ আমদানি শুরু হয়েছে। শনিবার এ বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কাস্টমস স‚ত্রে জানা যায়, ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় এখনও ২০-২৫টি পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এই ধারা চলতে থাকলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমবে।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আকবর আলী জানান, ৯টি পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এতে মোট ২৪২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত সরকার গত ১৪ সেপ্টেবম্বর কোন পূর্বের ঘোষণা না দিয়ে অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দিলে সে সময় থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা দ্রুত মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি চলমান রেখেছে। এর ফলে বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের স্বাভাবিক দাম ফিরে এসেছে। এরই মাঝে আবারও ভারত থেকে হিলি বন্দরে পেঁয়াজ রফতানি শুরু করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
মাসুম ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৩৯ এএম says : 0
অনতিবিলম্বে আমদানি বন্ধ করতে হবে
Total Reply(0)
Syed Shamim Reza Manik ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:০২ এএম says : 0
স্বার্থ উদ্ধার হলে ভারত তার পুরনো চেহারায় ফিরে যাবে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই।বাংলাদেশের প্রতি ভারত সরকার এবং জনগনের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা নেই শুধুমাত্র স্বার্থ ছাড়া ভবিষ্যতেও এর কোন পরিবর্তন হবে না।
Total Reply(0)
Abdul Hameed ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১০ এএম says : 0
ভারত যার বন্ধু,,,তার আর কোন শত্রু প্রয়োজন নাই
Total Reply(0)
কিরন ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৪ এএম says : 0
যাদের মধ্যে নুন্যতম দেশ প্রেম আছে তারা ভারতীয় পেয়াজ কিনবে না
Total Reply(0)
তানিয়া ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৫ এএম says : 0
ভারতীয় পেয়াজ বর্জন করুন,এটা বাংলাদেশের কৃষকদের লোকসানে ফেলার কুটকৌশল।
Total Reply(0)
Abdul Ali ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৫ এএম says : 0
ক্ষমতা চিরদিন থাকেনা। গাদ্দারেরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ঘৃনাভরে নিক্ষিপ্ত হয়।
Total Reply(0)
Azad mullah ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:৪৮ এএম says : 0
ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করা মানে দেশের কৃষক দের সাথে যুদ্ধ করে কৃষি খাতকে ধ্বংস করে দেয়া তাই ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না না না না কোনো অবস্থাতেই এই মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না বছর সেস হলে তখন দেখা যাবে আমাদের কতটুকু পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে
Total Reply(0)
habib ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:২৬ এএম says : 0
India is a great enemy of Bangladesh so boycott all Indian products in Bangladesh
Total Reply(0)
Nadim ahmed ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:০৯ পিএম says : 0
যারা আমদানী করছে তারাতো অনেক পুরানো চেতনাধারী রাজাকার। সরকার তথা প্রশাসনের সাথে যোগসাজস করেই তারা আমদানী করছে। এরা দেশের দুশমন। চলুন আমরা ওদের পেয়াজ কেনা পরিত্যাগ করি। পচে যাক ভারতীয় পেয়াজ।
Total Reply(0)
S M Pervez Sattar ১৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৩০ পিএম says : 0
ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ আপনারা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী করবেন না এবং বিক্রয় ও করবেন না। প্রয়োজনে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করুন, বাংলাদেশের গরীব কৃষকদের বাঁচান, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচান।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন