কক্সবাজারে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০/১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানী হলেও করোনার কারণে আমদানী বন্ধ ছিল দীর্ঘ আড়াই মাস।
দীর্ঘ এই বন্ধের পরে গতকাল তৃতীয় দফায় মিয়ানমার থেকে একদিনে ৫৬ টন পিয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। সোমবার সকালে একটি ট্রলারে করে এই পিয়াজ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায় বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, সোমবার একদিনে দুইজন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে ৫৬ টন পিয়াজ আমাদানি করেছেন।
আমদানি করা এসব পিয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে, সন্ধ্যায় ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে রওনা দেয়।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, টেকনাফ শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে ৮৪ টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ টন, অক্টোবরে ২০হাজার ৮৪৩ টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ টন পিয়াজ আমদানি হয়।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে এসেছিল ৮৩ টন পিয়াজ। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে ৫৭ টন পিয়াজ আসে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পরে তৃতীয় দফায় মিয়ানমার থেকে ৫৬ টন পেয়াঁজ আমদানি করা হয়। আরও পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলার আসার পথে রয়েছে বলে তারা জানান।
এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোহর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে সোমবার সকালে একটি ট্রলারে ৫৬ টন পিয়াজ এসেছে। আমদানি করা পিয়াজ দ্রুত সময়ে খালাস করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চারটি পিয়াজভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে বলেও তিনি জানান ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন