দেশে পেঁয়াজের সঙ্কটকালে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে কম সময়ে পেঁয়াজ আসার সুযোগ ছিল। ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের দু-তিন দিনের মধ্যে মিয়ানমার থেকে দেশে পেঁয়াজ আনার এ সুযোগটা ছিল ।
কিন্তু টেকনাফ স্থলবন্দর সচল থাকলেও মিয়ানমারে করোনার কারণে লকডাউন চলায় পেঁয়াজ আসার সুযোগটাও আপাতত বন্ধ। এখন ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার অনুমতি নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সেই পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে সমুদ্রপথে সিঙ্গাপুর বা শ্রীলংকার বন্দর হয়ে। আর এতে সময় লাগবে কমপক্ষে ১০/১২ দিন।
জানাগেছে, দেশের আমদানিকারকরা এ পর্যন্ত ছয়টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন বা আইপি নিয়েছেন। দেশগুলো হলো—চীন, তুরস্ক, মিসর, নেদারল্যান্ডস, মিয়ানমার ও পাকিস্তান। এর মধ্যে চীন থেকে আসতে সময় লাগবে ১৪ দিন; তুরস্ক, মিসর ও পাকিস্তান থেকে আসতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৭ দিন। নেদারল্যান্ডস থেকে আসতে লাগবে ১৮ দিন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ করে মাস দুয়েকের জন্য যদি টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা যায় তাহলে দ্রুত সংকট সামাল দেওয়া সহজ হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর এর কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারক জানান, ‘সবচেয়ে দ্রুত পেঁয়াজ আনার সুযোগ আছে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে। গত বছর ভারত রপ্তানি বন্ধের দু-তিন দিনের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জ এনে সরবরাহ দিয়েছিলাম। এবার সেই সুযোগটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না মিয়ানমারে লকডাউনের কারণে।
শিপিং কম্পানিগুলো সূত্রে জানাগেছে , মিয়ানমারের ইয়াংগুন বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮৩১ নটিক্যাল মাইল। সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালু থাকলেও এই সুযোগটি কাজে লাগানো যেত; অর্থাৎ মাত্র তিন দিনে জাহাজ নিয়ে পেঁয়াজ ইয়াংগুন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা যেত। এখন সেই সরাসরি জাহাজ সার্ভিসটিও চালু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন