আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় বসুরহাট পৌর মেয়র ও বর্তমান মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বক্তব্য দেয়ার সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মেয়রকে আচরণবিধি মেনে বক্তব্য দিতে বললে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে গিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জাসহ সমর্থকরা মির্জার ডাকে বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে ডিসি, এসপির অপসারণ, নোয়াখালী জেলা আ.লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝাড়– মিছিল, রাস্তার গাছ ফেলে ব্যারিকেড, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, ডিসি, এসপির কুশপুত্তলিকায় আগুন লাগিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এক পর্যায়ে দুপুর ৩টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে ম্যুারালে অসুস্থ অবস্থায় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ছোটভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অসুস্থ থাকা সত্বেও ক্লান্ত ভাষায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি নোয়াখালী জেলার ডিসি, এসপির অপসারণ চাই এবং নোয়াখালী জেলা কমিটি বাতিল করে একটি নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাই, জেলার টেন্ডারবাজী ও চাকরি বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১ হাজার শিক্ষিত বেকার যুবককে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ দাবির আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবো। এসময় উপজেলার বসুরহাট বাজারের দোকান-পাট, অফিস-আদালত সব কিছু বন্ধ হয়ে সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। এসময় তার সমর্থকেরা বসুরহাট বাজারে খাবার হোটেল ও ফার্মেসি ছাড়া সকল দোকান পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রবিউল আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল হক রনিসহ বসুরহাট পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুর রহমান রনির মুঠোফোনে এবিষয়ে জানতে বার বার চেষ্টা করার পরও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন