জুনিয়র নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা দেয়ার জের ধরে মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন, পুলিশ ও নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালকিনি উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে সকালে উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউজ চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম জুবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভার শুরুতে সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা না দিয়ে জুনিয়র নেতাদের নাম ঘোষণা দেয়া হয়।
এর জের ধরে ছাত্রলীগের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিনের হস্তক্ষেপে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খান ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল না বুঝে মাথা গরম করেছে। পরে বিষয়টি আমরা ফয়সালা করে দিয়েছি। নতুন করে আর কোন ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা বলেন, অনুষ্ঠানে সিনিয়র-জুনিয়রের নাম আগে পরে ঘোষণা নিয়ে নিজেরদের মধ্যে সামান্য একটি ঘটনা ঘটেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন