লক্ষ্মীপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরিষা চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ায় দিন-দিন সরিষা চাষে এ অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া সরিষার বাজার দর ভালো হওয়ায় সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। লক্ষ্মীপুর জেলার বিভন্ন উপজেলার চোঁখে পড়ে অবারিত সরিষার ক্ষেত। যে দিকে চোক যায় সে দিকেই শুধু সরিষার ফুলের সমারোহ। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলায় এ বছর সরিষা আবাদ হয়েছে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। যা গত বারের চেয়ে ৯৯২ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে রায়পুর উপজেলায়। রায়পুর উপজেলায় ৯৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ১৭৫ হেক্টর জমিতে, কমলনগর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে, রামগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ও রামগতি উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬৯০ মেক্টিক টন ।
চাষিরা জানান, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। প্রথমে হালকাভাবে চাষ করে সরিষার বীজ বপন করতে হয়। পরে দু-এক বার কিছু ওষুধ ও কীটনাশক দিলেই সহজে ফলন ভাল হয়। তুলনামুলক কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। চররমনী মোহন এলাকার সরিষা চাষি তছলিম উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত থাকতো, কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন জমিতে সরিষা চাষ করছেন। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে উৎপাদন আরও বেশি হবে। সে কারণে এবার বেশি লাভের আশা করছি।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, পুণর্বাসন ও প্রণোদনার আওতায় আমরা কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এতে সরিষার আবাদ দিন দিন এই জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনুক‚ল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার সরিষার ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি। জেলায় প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। বাজারে সরিষার দাম বেশি থাকায় এবং ফল ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন