করোনাকালে সৃষ্ট বৈষম্য কমাতে দুই বছরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিশিষ্টজনরা। তারা এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কৌশল নিরূপণ এবং বাজার ও সাপ্লাই চেইন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার ‘দক্ষিণ এশিয়ার বৈষম্য পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এই আহবান জানান। সাউথ এশিয়ান অ্যালান্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি) ও ফাইট ইন ইকুয়ালিটি অ্যালান্স, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), ইনসিডিন বাংলাদেশ, ভয়েস, জনউদ্যোগ ও অক্সফাম যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ‘করোনাকালীন বৈষম্য ও অসমতা’ বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অক্সফামের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন ও কমুনিকেশন প্রধান এসএম মঞ্জুর রশিদ। আলোচনায় অংশ নেন বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, জন উদ্যোগের আহবায়ক ডা. মুশতাক হোসেন, শ্রমিক নেতা খায়রুল মামুন মিন্টু, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)’র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, ইনসিডিন বাংলাদেশের পরিচালক এ কে এম মুশতাক আলী, আদিবাসী নেতা চঞ্চনা চাকমা, সলিডারিটির প্রতিনিধি মোর্শেদ বদরুন্নেসা, শ্রমিকনেতা অরবিন্দ ব্যাপারী, হেক্স বাংলাদেশের ছাইবুন প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধ রোকেয়া কবীর বলেন, করোনাভাইরাস মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। দরিদ্র মানুষগুলো আরো দরিদ্র হচ্ছে। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, বিশ্বায়নের ফলে সকল সুযোগ সুবিধা ও মুনাফার বেশির ভাগগুলোই ভোগ করছে ধনী দেশ ও ব্যক্তি মালিকাধিন কোম্পানিগুলো। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির বিপর্যয় ঘটে এবং দরিদ্র মানুষের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হলে তারা কিভাবে সেবা পাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার তৈরির পাশাপাশি, যাদের করোনা হয়নি কিন্তু অন্য জরুরী স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন তাদের পরিস্থিতি আরো সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এপরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহসহ করোনা ভ্যাক্সিন সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন