নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক ও শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. রায়হানকে (২২) উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাতটায় মহিপুর থানা পুলিশ রায়হানকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর জলকপাট এলাকা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলন জানান, আজ বুধবার ফজরের নামাজের পর রায়হান কুয়াকাটার নিকটবর্তী লেম্বুর চর এলাকায় একটি বালুর ট্রলার থেকে নামেন। তখন তাঁর হাত বাঁধা ছিল। স্থানীয়রা এ অবস্থায় তাঁকে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এবং ওই অবস্থায় একটি ডিঙ্গি নৌকায় করে লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের স্লুইজ এলাকায় নিয়ে আসে। পুলিশ দ্রুত গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
রায়হান গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি তালতলীতে রওনা হয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ ছিলনা। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাঁকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভাইরাল হয়।
রায়হান উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে। রায়হান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় কাশেম মিয়া মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
কাশেম মিয়া তাঁর অভিযোগে বলেন, উপজেলার লতাচাপলীর ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে ইমাম শিকদারের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন রায়হানকে কোথাও আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় ইমাম ছাড়াও মসিউর, ইমরান, বিপ্লব শীল জড়িত রয়েছেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত ইমাম শিকদার নামে এক যুবক রায়হানের বাবা কাশেম মিয়াকে মুঠোফোনে কল করে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার সাথে জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাদক কারবারের দায়ে একাধিকবার তাঁরা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এবং তাঁদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা একটি গ্যাং
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন