বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাকৃবি গবেষকের সাফল্য গাভীর দুধের উৎপাদন বাড়াবে ঔষধি ঘাস

বাকৃবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম

বাংলাদেশে গাভীর দুধ আমিষের একটি অন্যতম উৎস। সাধরণত খামারিরা গাভীর দুধের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, গ্রোথ হরমোন এবং স্ট্যারয়েডস ব্যবহার করেন। এসব উপাদানের একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি মানবদেহের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর। তাই দুধের উৎপাদন বাড়াতে এসব ক্ষতিকর উপাদানের বিকল্প হিসেবে চারটি ঔষধি ঘাসের মিশ্রন খাদ্য হিসেবে ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।

বৃহস্পতিবার সকালে বাকৃবি পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে পশুপুষ্টি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ঔষধি ঘাসের প্রভাব’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব কথা জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন।

তিনি জানান, ঔষধি গুণসম্পন্ন সজিনা পাতা, আনারসের উচ্ছিষ্ঠাংশ, তেলাকুচা পাতা ও লেমন ঘাসের একটি মিশ্রণ দুগ্ধজাত গাভীর খাদ্যের সাথে ব্যবহার করলে দুধের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, জিংকসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। মিশ্রণটি খামারীরা দুগ্ধজাত গাভীর খাদ্যের সাথে ব্যবহার করলে অধিক পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ নিরাপদ দুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। আর এই দুধ খেলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ঘাসের সহজলভ্যতা, খরচ বিশ্লেষণ এবং জৈব ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ বিশ্লেষন করেই এই ৪ টি ঘাস নির্বাচন করা হয়েছে।

প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. মো. মেহেদি হোসেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন