সাদা পোষাকে যেখানে শেষ করেছিলেন, রঙিন পোষাকে ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। গত ৪ ফেব্রুয়ারি টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর গতকাল ম্যাজিক্যাল তিন অঙ্কের দেখা পেলেন টি-টোয়েন্টিতেও। যদিও তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি পাকিস্তান। রিজওয়ানের ব্যাট ক্যারি করা অপরাজিত ১০৪ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। তবে বৃথা যায়নি রিজওয়ানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। বোলারদের নৈপূণ্যে ঐ ৬ উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৬৬ রানে। তিন রানের রোমাঞ্চকর এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাবর আজমের দল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামা অধিনায়ক বাবর আজম আউট হয়ে যান ম্যাচের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানেই। এরপর বাকিদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে একাই টানতে থাকেন রিজওয়ান। তবে জুৎসই কোনে সঙ্গী না পাওয়ায় নির্ধারিত ওভার শেষে অল্প পূঁজি নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করা ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ৬৪ বলে বিধ্বংসী ইনিংসটি ৬টি চার ও ৭টি ছক্কায় মোড়ানো। বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে হায়দার আলী ২১, হুসাইন তালাত ১৫ ও খুশদিল শাহ খেলেন ১২ রানের ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি উইকেট নেন আন্দিলে ফেহলুকাওয়ো। একটি করে শিকার বিয়ন ফরচুইন, লুতো সিপামলা ও তাবরাইজ শামছি।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রেটিয়াদের শুরুটাও হয়েছিল ঝড়ো। দুই ওপেনার জানেমান মালান ও রিজা হেনড্রিকসের ৫৩ রানের জুটিতে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল। কোনো উইকেট না হাররিয়ে ৫ ওভারে ৪৪ রানও তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রানে মালানের বিদায়ের পর লড়াইটা চালিয়ে যান হেনড্রিকস। ফিফটি তুলে (৫২) তার বিদায়ের পর বাকিদের সহায়তা না পাওয়ায় আর পেরে ওঠেনি সফরকারিরা। দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও উসমান কাদির। একটি অপর শিকারটি ফাহিম আশরাফের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন