জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাছ থেকে ইশরাক হোসেনের দলীয় কর্মীদের ছিনিয়ে নেয়ার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জীবন বাজি রেখে পুলিশের কব্জা থেকে দলীয় কর্মীকে ছিনিয়ে আনায় ফেসবুকে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ভাইরাল দৃশ্যটি শেয়ার করে অধিকাংশ মানুষ মন্তব্য করেছেন, ‘এমন নেতাই প্রয়োজন প্রত্যেকটি দলে’।
আজ শনিবার দুপুর বারোটার দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
ভাইরাল টিভি ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যায়, বেধড়ক লাঠি পেটায় আহত এক কর্মীকে পুলিশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে লাঠির আঘাত চলছে। সে পালিয়ে বাঁচতে সাহায্য চাইছে। এসময় অন্যকর্মীরা পালিয়ে গেলেও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার দিকে ছুটে আসেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইশরাকের সঙ্গে থাকা সেফটি টিম তাকে নিরাপদ স্থানে নিতে পেছনের দিকে টানছেন। প্রায় ৬ থেকে ৭ জন কর্মী তাকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে একা এসে পুলিশ ভ্যানের সামনে থাকা বিএনপির এক রক্তাক্ত কর্মীকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আহত অবস্থায় নিজের জীবন বাজি রেখে একজন আহত কর্মীকে এভাবেই পুলিশের কব্জা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন ইশরাক।
ফেসবুকে অনেকেই ভিডিও ও ছবি শেয়ার করে ইশরাক হোসেনের প্রশংসা করেছেন। সোহাগ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘ইশরাকের মত কর্মী-বান্ধব নেতা সকল সংগঠনেই গড়ে উঠুক, কর্মীকে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নেতা জনগণ চায়না। একদল আক্রমণাত্বক পুলিশ থেকে রক্তাক্ত কর্মীকে ছিনিয়ে নিচ্ছে তাদেরই নেতা।’’
রাশেদ রাসা লিখেছেন, ‘‘নিজে মাইর খেয়েও পালিয়ে যায়নি, উল্টো পুলিশের কাছ থেকে কর্মীদের ছিনিয়ে নিয়ে আসলেন। স্যালুট জনতার মেয়র ইশরাক।’’
অলিফ বাবু লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকতেই পারে, তবে একজন নেতার কর্মীদের জন্য আদর্শ এমনই হওয়া উচিত যেমনটি করলেন ঢাকা দক্ষিণের যোগ্য পিতার যোগ্য আদর্শিক সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন